কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরও চাপ বাড়ল রাজ্য সরকারের উপর
নিউজ ডেস্ক ::NIA-রাজ্য সংঘাত চরমে উঠেছে। এরই মাঝে আবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ আরও চাপ বাড়াল রাজ্য সরকারের উপর। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে আপাতত কোনও মামলার তদন্ত করতে পারবে না ভূপতিনগর থানার ওসি। এমন কি মামলা প্রস্তুত করতেও পড়বেন না তিনি। অন্য কোনো অফিসার তদন্ত করলেও আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনো চার্জ সিট জমা দিতে পারবেন না।
সেই সঙ্গে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না তিনি। ভূপতিনগরের ২১ বিজেপি নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৪০ টি মামলার তদন্ত করতে পারবেন না ভূপতিনগর থানার ওসি। অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে কোন কোন মামলায় বিস্ফোরণের অভিযোগ থাকলেও সেসব NIA কে জানানো হয়নি? আগামী সোমবার রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যকে। রিপোর্টে আদালত অবমাননাকর মন্তব্য করার জন্য আদালতে দাড়িয়ে ক্ষমা চাইলেন ওসি গোপাল পাঠক।
রাজ্যের আইনজীবীকে এই নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করে বিচাপতি বলেছেন, তিনি পুলিশ অফিসার বলে তিনি যা খুশি তাই বলতে পারেন! তার প্রেক্ষিতে অবস্য আইনজীবী ক্ষমা প্রার্থীনা করেছেন বিচারপতির কাছে এবং বলেছেন,যা লেখা হয়েছে, অন্যায়।
গতকাল কাল রাতে ওসি নিজে বিজেপি পার্টি অফিসে গিয়ে বিধায়কের সামনে হুমকি দিয়েছেনএক মামলাকারীকে। মোট ৪০ টি মামলা তার বিরুদ্ধে আছে বলে রাজ্যের রিপোর্ট দেয় আজ। কাল রিপোর্টে ২৬ টি বলা হয়েছিল।
অভিযোগ, এমন তদন্ত করছেন যেখানে ৩০৭ ধারায় মামলা শুরু করে চার্জ সিট দেওয়ার সময় সেই ধারা বাদ দিয়েছে পুলিশ। মানে মারধরের কোনো রক্তপাত পায়নি। অথচ তার আগে গ্রেপ্তার হয়ে গেছে। বিরোধীদের হেনস্থা করার এটা একটা প্রক্রিয়া। এটাকে যথার্থ তদন্ত বলে না। অন্তত ৩ টি মামলায় বিস্ফোরণের অভিযোগ আছে। কিন্তু সেখানেও আইন অনুযায়ী NIA কে জানানো হয়নি।
এদিকে ভূপতিনগরে এনআইএ-র উপর হামলার ঘটনায় আক্রান্ত অফিসারদের থানায় তলব করে পুলিশ এবং তাঁদের মেডিকেল সার্টিফিকেট সহ হাজিরা দিতে বলা হয়। তাঁদের কাছ থেকে বয়ান নিয়ে সেই রিপোর্ট কমিশনে পাঠানো হয়। কমিশনের রিপোর্ট এনআইএ-র উপরে হামলার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে আবার এইআইএ পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছে। তারা জানিয়েছে ঘটনার দিন হামলার কথা থানায় জানানো হলেও পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে যায়নি। প্রায় ৪ ঘণ্টা দেরিতে সেখানে গিয়েিছল পুলিশ। সন্দেশখালির কায়দায় সেখানে হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে।