ভূপতিনগর বিস্ফোরণ নিয়ে মমতাকে নিশানা অমিত শাহের
নিউজ ডেস্ক ::২০২৪-এর লোকসভা ভোটের প্রচারে ১০ এপ্রিল বালুরঘাটে তাঁর প্রথম সভা করলেন অমিত শাহ। সেই সভা থেকে তিনি প্রত্যাশা মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনুপ্রবেশকারীরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট ব্যাঙ্ক।
অমিত শাহ বলেন, সিএএ নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি বলেন, ভয় মুক্ত হয়ে শরণার্থীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করুন। তিনি বলেন, এটা নরেন্দ্র মোদীর তৈরি করা আইন, কেউ বদলাতে পারবে না।
অমিত শাহ বলেন, সারা দেশে বিজেপির ৩৭০ পেতে গেলে বাংলা থেকে অন্তত ৩০ আসন চাইই। অমিত শাহ এদিন বালুরঘাটের সভা থেকে সোনার বাংলা গড়ার ডাক দেন। তিনি আযুষ্মাণ ভারত প্রকল্প রাজ্যে চালু না করা নিয়ে মমতা সরকারের সমালোচনা করেন।
এদিন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে দক্ষিঁণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ সন্দেশখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। তিনি বলেন তুষ্টিকরণের কারণে সেখানকার অভিযুক্তদের বাঁচানো হচ্ছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ আইন পাশ করিয়েছে। মমতা দিদি বলছেন, কেউ যদি সিএএ-র জন্য আবেদন করেন, তাহলে তিনি নাগরিকত্ব হারাবেন। এব্যাপারে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, শরণার্থীরা সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব নিয়ে আবেদন করুন। কারও কোনও সমস্যা হবে না বলেও তিনি আশ্বাস দেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, মমতা দিনিন আপনি যতই সিএএ-র বিরোধিতা করুন না কেন, কেন্দ্রীয় সরকার উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেবে।
তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ করে অমিত শাহ বলেন, শক্ত ভার গড়তে গেলে শক্ত বাংলা গড়তে হবে। কিন্তু সবাই জানেন বাংলায় অনুপ্রবেশের মাত্রা কতটা। যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে রাজ্যে উন্নতি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি জনগণের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, কেউ কি মনে করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করকে কাজ করবেন? এর উত্তর না। কারণ অনুপ্রবেশকারীরাই তাঁর প্রকৃত ভোট ব্যাঙ্ক।
অমিত শাহ বলেন, অসমের বিজেপি সরকার সেখানে অনুপ্রবেশ বন্ধ করেছে। তিনি মোদীর গ্যারান্টি দিতে গিয়ে বলেন, বাংলায় বিজেপি ৩০-এর বেশি আসন পেলেই রাজ্যে সরকার গঠন করবে। তারপর রাজ্যে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে।