“ঘর দেব না-ঘর বানাতেও দেব না, এটাই বিজেপির মডেল”: অভিষেক
নিউজ ডেস্ক ::জলপাইগুড়িতে ঘর তৈরির অনুমতি দিল না নির্বাচন কমিশন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সরাসরি বিজেপি এবং কমিশনকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন বাংলার মানুষ নয় বিজেপির টার্গেট কেবল তৃণমূল কংগ্রেস। তারা কেবল নিজেদের ফায়দার কথা ভাবে। পক্ষপাতদুষ্ট কমিশন বিজেপির কথায় কাজ করছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন ঘর দেব না। ঘর তৈরি করতেও দেব না। এটাই বিজেপির মডেল। রাজ্য সরকার টাকা দিয়ে জলপাইগুড়ির ঘরহারা দের ঘর তৈরি করে দিতে চাইছে সেটার অনুমতিও দিচ্ছে না কমিশন। বিজেপি ভয় পাচ্ছে তাতে যদি তাঁদের ভোট চলে যায়। আর নির্বাচন কমিশন তাঁদের কথায় নাচছে। অসমে বিহু উৎসবের জন্য ভোটের মধ্যে দেড় লক্ষ টাকা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে কমিশন বাংলার ঘরহারাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই দিতে চাইছে না।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন রাজভবনে গিয়েছিলেন দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কুনাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসু। রাজ্যপালকে তিনি যে চিঠি দিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই তিনি গিয়েছিলেন সেখানে। রাজ্যপাল তাঁদের দেখা করার সময় দিয়েছিলেন। এদিন সন্ধেবেলা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন তাঁদের আবেদনে অনুমতি দেয়নি। অর্থাৎ রাজ্য সরকার জলপাইগুড়ির ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরি করে দিতে চেয়েছিল। নির্বাচনী বিধি লাগু থাকায় কমিশনের অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু কমিশন তাতে অনুমতি দেয়নি।
কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন আমরা টাকা দিচ্ছি তাও ওরা বাড়ি তৈরি করতে দিচ্ছ না। জলপাইগুড়ির মানুষ ভোট দিয়েছিলেন বিজেপিকে তারপরেও তাঁদের সঙ্গে এরকম আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে যাবেন এবং সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। সেদিন দিল্লিতে আক্রান্ত বিজেপির ১০ প্রতিনিধিকেও আসতে বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বিজেপিকে একের পর এক নিশানা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি বাংলা বিরোধী বলে নিশানা করেছেন তিনি। এদিন মমতা বালা ঠাকুের শপথ গ্রহণের বিতর্ক নিয়েও সরব হয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন মমতাবালা ঠাকুর শপথগ্রহণের সময় হরিচাঁদ ঠাকুর এবং গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম নিয়েছিলেন তাতে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁর শপথ গ্রহণ। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ই তাঁকে বাঁধা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক। সেই সঙ্গে তিনি মতুয়াদের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন কাদের ভোট দেবেন মতুয়ারা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মতুয়া মহাসঙ্ঘের নেতা শান্তুনু ঠাকুর বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ। গত কয়েকদিন ধরে ঠাকুরবাড়িতে বড়মায়ের ঘরের দখল নেওয়া নিয়ে মমতাবালা ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর বিবাদ চলছে। শান্তনু ঠাকুর প্রথম থেকেই সিএএ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। বারবার প্রকাশ্যে সিএএ-র সমর্থনে কথা বলেছিলেন তিনি। বিজেপির সরকার তাঁদের ঠাকুরের নামে শপথ নিতে দিচ্ছে না বলে নিশানা করেছেন অভিষেক।