২১০০০ প্রার্থী জামানত জব্দ হয়েছে গত ৩ লোকসভা ভোটে
নিউজ ডেস্ক ::লোকসভা ভোট শিয়রে। ইতিমধ্যেই প্রথম দফার ভোটের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে দিয়েছেন প্রার্থীরা। ভোটের ফলাফক কি হবে সেটা এখন বিশ বাঁও জলে। কিন্তু জানেন কি গত ৩ লোকসভা নির্বাচনে কতজন প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছিল। শুনলে চমকে যাওয়ার মতোই অবস্থা হবে।
গত তিন লোকসভা নির্বাচনে ২১০০০ প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছিল। মোট ৪৬ কোটি টাকা হারিয়েছিলেন তাঁরা। নির্বাচন কমিশনের সমীক্ষায় এমনই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী কোনও প্রার্থী ভোটে দাঁড়ালে অন্তত পক্ষে এক ষষ্ঠাংশ ভোট পেতেই হবে তাঁকে। কিন্তু এই ২১০০০ প্রার্থী সেই ভোটও পায়নি। সেকারণে তাঁদের নির্বাচনের জন্য জমা রাখা অর্থ কমিশন বাজেয়াপ্ত করে।
২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের সমীক্ষার প্রেক্ষিতে এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীদের ভোটে দাঁড়াতে হলে ২৫০০০ টাকা জমা রাখতে হয় কমিশনের কাছে। তপশিলি জাতি এবং উপজাতিদের তার থেকে অর্ধেক টাকা জমা রাখতে হয় মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য।
২০০৯ সালে মোট ৬৮২৯ জন প্রার্থী ভোটে হেরে জামানত জব্দ হয়েছেন। ২০১৪ সালে ৮২৫১ জন প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছে। আর ২০১৯ সালে ৬৯২৩ জন প্রার্থী জামানত জব্দ হয়েছে। ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের ৮৫ শতাংশ প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২০০৯ এবং ২০১৯ সালে মোট ২৪,৩৭৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। তার মধ্যে ২০,৭৫২ জন জন প্রার্থী জামানত জব্দ হয়েছে।
২০০৯ সালে ১৫.৫৯ কোটি টাকা জামানত জব্দ হয়েছে। ২০১৪ সালে ১৪.৫৭ কোটি টাকা এবং ২০১৯ সালে ১৫.৮৫ কোটি টাকা জামানত জব্দ হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২০১৪ সালে প্রথম বিজেপি কেন্দ্রে সরকার গড়ে। ২০১৯ সালে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়ে।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যানে জানা গিয়েছে দেশের প্রথম নির্বাচন ১৯৫১ সালে মোট ৯০৬৭ জনের জামানত জব্দ হয়েছিল। মোট ২২.৮০ লক্ষ টাকা জামানত জব্দ হয়। লোকসভা নির্বাচনে ৭৪১ জন প্রার্থীর ৩.৫১ কোটি টাকা জামানত জব্দ হয়। আর লোকসভা ভোটে ৮২৩৪ জন প্রার্থীর ১৯.২৪ লক্ষ টাকা জামানত জব্দ হয়েছিল। আগে প্রার্থীদের ৫০০ টাকা জমা রাখতে হতো মনোনয়ন জমার জময় আর তপশিলি জাতি-উপদাতিদের ২৫০ টাকা জমা রাখতে হতো।