ভোটের হার নিয়ে ‘সুপ্রিম’ হলফনামা কমিশনের

0 0
Read Time:3 Minute, 44 Second

নিউজ ডেস্ক ::লোকসভা নির্বাচন প্রায় শেষের মুখে! কিন্তু ভোটদানের হার নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। এমনকি ভোটদানের হার জানানোর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টেও দায়ের হয়েছে মামলা।

আর সেই মামলায় নিজেদের অবস্থান জানাল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়।

শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) তরফে একটি হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক বুথে ভোটের হার প্রকাশ্যে আনা নিয়ে কোনও আইনি যুক্তি নেই। এমনকি নির্বাচনের এই পর্যায়ে তা সম্ভব নয় বলেও কমিশনের তরফে দেওয়া হলফনামায় দাবি কমিশনের।

এক্ষেত্রে 17c (প্রত্যেক কেন্দ্রে দেওয়া ভোটের হার) তে ভোটারদের ভোটিং ডেটা প্রকাশ্যে আনলে ভোটারদের মধ্যে বিভ্র্যান্ত তৈরি করবে। এতে পোস্টাল ব্যালটও অন্তর্ভুক্ত থাকে। ফলে সেই পরিসংখ্যানের ‘ব্যবধান’কে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তকর পরিস্থিতি তৈরি করবে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাও নষ্ট হবে বলেও সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ নির্বাচন কমিশনের। এক্ষেত্রে এর আগের সুপ্রিম কোর্টের বেশ কিছু নির্দেশিকা তুলে ধরা হয়।

যেখানে আদালত বলেছে, নির্বাচনের কোনও অংশ নিয়ে মানুষের মধ্যে যদি কোনও প্রতিক্রিয়া তৈরি করে তাহলে তা শুরুতেই খারিজ করে দেওয়া উচিৎ। যদিও ভোটের হার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। দলের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপি খারাপ ফল প্রকাশ করতে পারে কিংবা আসন হারানোর শঙ্কা রয়েছে সেখানে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত ভোটের হারের মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে।

নির্বাচনের দিন একটা ভোটের হার বলা হচ্ছে, এরপর তিন-চারদিন পর অনেকটাই ভোট বাড়িয়ে বলা হচ্ছে। বিরাট অসংতি আছে বলে দাবি বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার।

শুধু তাই নয়, প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে গড়ে প্রায় ২৮ হাজার ভোটের ফারাক হয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি তাঁর। যদিও নির্বাচন কমিশনের দাবি, কোথাও কোনও অসঙ্গতি নেই। সবটাই পরিস্কার এবংস স্বচ্ছ হচ্ছে বলেও দাবি নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India)। বলে রাখা প্রয়োজন, আগামী শনিবার ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। তার আগে চড়ছে বিতর্ক ভোটের হার নিয়ে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!