হাথরসের ঘটনায় অনেক প্রশ্ন সামনে চলে আসলো

0 0
Read Time:3 Minute, 6 Second
নিউজ ডেস্ক ::রবিকবি বহু বছর আগেই লিখেছিলেন, "ধর্মের নামে মােহ এসে যারে ধরে,/অন্ধ যে জন, মারে আর শুধু মরে।" উত্তর প্রদেশের হাথরস কান্ড তা আবার নতুন করে প্রমাণ করলো। মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের হাথরসে সৎসঙ্গের ডাক দিয়েছিলেন নারায়ণ সাকার হরি, ওরফে সাকার বিশ্ব হরি, ওরফে ভোলে বাবা। তার শেষেই হুড়োহুড়ি পড়ে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মারা গিয়েছেন অন্তত ১২১ জন পুণ্যার্থী। সেই সংখ্যা আরো বাড়ার সম্ভাবনা। সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরেই যোগী আদিত্যনাথ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সংসদ ভাবনে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত শোক জ্ঞাপন করেছেন। হয়তো মৃতদের পরিবারকেও প্রচুর আর্থিক সাহায্যও করা হবে! তারপর কিছুদিনের মধ্যে মানুষের স্মৃতি থেকে সব মুছে যাওয়ার আগেই আবার নতুন কোনো 'হাথরস' ঘটবে। তখন আবার শোক জ্ঞাপন, আবার আর্থিক সাহায্য - 'এ খেলা চলছে নিরন্তর।'

কিন্তু প্রশ্ন কেন বার বার করে এমন ঘটনা ঘটছে? কেন তা আটকানো যাচ্ছে না? এর উত্তর আমাদের জানা নেই। কিন্তু এই টুকু সকলেই বোঝেন, ধর্ম আর রাজনীতিকে এক জায়গায় মেলালে আবার এই ঘটনা ঘটবে। কারণ কোনো ধর্ম প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে প্রশাসন কখনোই কঠিন পদক্ষেপ নেবে না! দুর্ঘটনা ঘটার পরে যা জানা যাচ্ছে তা হলো ধর্ম গুরুকে দেখার জন্য বেশ কয়েক হাজার মানুষ যেখানে জড়ো হয়েছিল, সেখানে ছিল চূড়ান্ত অব্যবস্থা। পুলিশ সাহস পায় নি সেই ধর্ম সভা বন্ধ করে দিতে। তাই প্রশ্ন উঠেছে,

  • কেন পুলিশ সেই সভার অনুমতি দিলো?
  • কেন প্রবেশ ও প্রস্থানের গেট খুবই ছোট ছিল?
  • কেন এই গরমে প্যান্ডেলে কোনো ফ্যানের ব্যবস্থা ছিল না?
  • কেন মাঠ ছিল কর্দমাক্ত?
  • বহু মানুষের সমাগম ঘটবে জেনেও কেন কোনো এম্বুলেন্সয়ের ব্যবস্থা ছিল না?
  • কেন কোনো উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক ওখানে উপস্থিত ছিলেন না?
  • কেন প্রশাসন এই ধর্মসভার অনুমতি লিলেন?
  • আর শেষ প্রশ্ন, আর কতদিন এভাবে ধর্মের নামে মোহ মানুষকে গ্রাস করবে? তাই কবিই বলেছিলেন, ‘এ অভাগা দেশে জ্ঞানের আলোক জ্বালো।’
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!