১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে চর্মনগরীতে!
নিউজ ডেস্ক ::আরও ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হতে চলেছে বাংলায় (West Bengal)। এমনটাই জানাল রাজ্য সরকার। বানতলা চর্মনগরীতে (Bantala Leather Complex) বিপুল অঙ্কের এই বিনিয়োগ হতে চলেছে। বিপুল এই বিনিয়োগের ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থানও হবে। আজ বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হয় বানতলা চর্মনগরীর ব্যবসায়ীদের।
ছিলেন কাউন্সিল অফ লেদার এক্সপোর্টের চেয়ারম্যান রমেশ জুনেজা সহ একাধিক প্রতিনিধি। দীর্ঘ বৈঠকে বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এরপরেই বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত জানান প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, লেদার কমপ্লেক্সে বর্তমানে ৫০০টি ট্যানারি, লেদার গুডস ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট হিসাবে কাজ করছে। প্রায় ১১৫০ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে সুবিশাল চর্মনগরীতে ইতিমধ্যে ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে বলে জানিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, সেখানে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামিদনে আরও ১৮৭টি ট্যানারি, ১৩৯টি ফুটঅয়্যার ইউনিট আসছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা। আর তাতে ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ সেখানে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরফ তাতে আরও আড়াই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সব মিলিয়ে বানতলা চর্মনগরীতে সাড়ে সাত লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, বাংলা বিনিয়োগ টানতে দ্রুতগতিতে পরিকাঠামো উন্নত করার কাজ করছে। সেই মতো প্রায় ১৯০০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।
একই সঙ্গে কী কাজ হয়েছে তাও উল্লেখ করেন। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৈরি করা হয়েছে পানীয় জল প্রকল্প। এজন্য ৪৭৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। অন্যদিকে লেদার কটেজ অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি মল তৈরি করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
আলিপুর সংশোধনাগারের যে অংশ হেরিটেজ বলে ঘোষিত হয়েছে সেখানেই তা তৈরি হবে হিডকো তা তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা। তাঁর কথায়, সেখানে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সে উৎপাদিত পণ্য মলের ৫০ শতাংশ জায়গায় বিক্রি করা হবে। তাতে চাহিদা এবং বিক্রি দুটোই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসাবেই দেখা হচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকেই শিল্প টানতে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটা সূচনা বলে মনে করা হচ্ছে।