নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলাকে অপমান! বঙ্গ বিধানসভায় প্রস্তাব শাসকের
নিউজ ডেস্ক ::নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে দেওয়া হয়নি! তা নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। আর সেই বিতর্কের আঁচ এসে পড়ল বঙ্গ বিধানসভায়। বাংলাকে অপমান করা হয়েছে। বঞ্চনার কথা তুলতে দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে প্রস্তাব আনা হয় বিধানসভায়।
মিথ্যা ভাষণ দেন মুখ্যমন্ত্রী, পাল্টা অভিযোগ বিজেপি বিধায়কদের। এই বিষয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ একাধিক বিধায়ক। আর তা নিয়ে উত্তাল অধিবেশন (Mamata Banerjee-Niti Aayog Meeting) ।
বঙ্গ বিধানসভায় অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের শুরুর দিন থেকে একাধিক ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে। সম্প্রতি নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াক আউট করে বেরিয়ে এসেছিলেন এবং অভিযোগ করেছিলেন তাকে তার বক্তব্য বলতে দেওয়া হয়নি তার মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরই প্রতিবাদে সোমবার রাজ্য বিধানসভায় ডঃ মানুষ রঞ্জন ভূঁইয়া একটি প্রস্তাব আনেন। যেখানে এই ঘটনার আলোচনা এবং নিন্দা জানানোর কথা বলা হয়। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং আলোচনা শুরুর কথা বলেন।
মানস ভুঁইয়া বলেন, পরিকল্পনা করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান মানে বাংলাকে অপমান। ইচ্ছাকৃত ভাবে বঞ্চনার কথা তুলতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কদের। যদিও এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজেপি পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিধানসভার কক্ষ ত্যাগ করে।
শুধু তাই নয়, একেবারে রাস্তায় বেরিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। শিলিগুড়ির বিধায়কের দাবি, সত্য আসতে দিতে চান না মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি অসত্য ভাষণ তুলে ধরছেন। শুধু তাই নয়, বাংলার জন্য ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে দাবি শঙ্কর ঘোষের।
শুধু তাই নয়, এই সরকার কেন্দ্রের কোনও প্রকল্প মানে না। এমনকি নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর যোগ দেওয়া নিয়েও ধোঁয়াশা ছিল। এই অবস্থায় কেন প্রস্তাব তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়করা। এই বিষয়ে আরও দাবি, ফিরহাদ হাকিমের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে প্রস্তাব আনা হয়েছিল। কিন্তু তা গ্রাহ্য করা হয়নি। কার্যত স্পিকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ বিজেপির।
অন্যদিকেবিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় জানান, মুখ্যমন্ত্রী আগে কোনও দিন যাননি। তিনি ওখানে ইন্ডিয়া জোটের হয়ে গিয়েছিলেন। উনি ভিতরে এসব কিছু বলেননি। উনি গিয়েছিলেন একটা সেটিং চেষ্টা করতে। ভিতরে যা হয়নি, সাংবাদিকদের সামনে এসে সেই মিথ্যা বলেছেন বলে দাবি বিধায়িকার।
অন্যদিকে স্পিকার জানিয়েছেন, খুব গুরুত্বপুর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার দরকার হলে প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করা যায়। আমি বিধানসভার নথিতে দেখেছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের স্বার্থে ওখানে গিয়েছিলেন। যেভাবে তাকে বাধা দেওয়া হয়েছে তা অনৈতিক বলে মন্তব্য স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের।