নির্যাতিতা তাঁর বাবাকে কোন উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন?
নিউজ ডেস্ক ::আরজি কর হাসপাতালে মৃত নির্যাতিতা চিকিৎসক নাকি কয়েকদিন ধরে নাইট ডিউটি করতে চাইছিলেন না। জানিয়েছেন তাঁর বাবা। কেন হঠাৎ করে তাঁর নাইট ডিউটি করতে চাইছিলেন না সেটা কিন্তু তাঁর বাবাকে স্পষ্ট করে জানাননি তিনি। নির্যাতিতার বাবার বক্তব্যে সন্দেহ বাড়তে শুরু করেছে।
মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সকালে ফোন পেয়েছিলেন তিনি। পুলিশ এবং হাসপাতাল থে্কে একই কথা বলা হয়েছিল। হাসপাতালে আসার পর জানতে পারেন কী ভয়ঙ্কর পরিণতি হয়েছে তাঁদের একমাত্র কন্যার। অনেক কষ্ট করে মেয়েকে ডাক্তারি পড়িয়েছিলেন তাঁরা। মেয়ে চিকিৎসক হয়েছে। নিশ্চিন্তেই ছিলেন পরিবার। কিন্তু ডিউটি রত অবস্থায় সরকারি হাসপাতালে যে তাঁর চিকিৎসক মেয়ের সঙ্গে এই ধরনের নারকীয় পরিণতি হবে তা তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি ।
এমনকী মেয়ের দেহ পর্যন্ত তাঁদের দেখতে দেওয়া হয়নি। একেবারে ময়নাতদন্তের পর পুলিশি নিরাপত্তায় চিকিৎসক নির্যাতিতার দেহ তাঁর পাণিহাটির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে একেবারে পুলিশি পাহারাতেই পাণিহাটি শশ্মানে দেহ দাহ করা হয। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রায় নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে নাকি ধর্ষণের কথা স্বীকারও করেছে। পুলিশের সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে কাজ করত সে।
কিন্তু তদন্তে জানা যায় সেদিন সেখানে কোনও দায়িত্বে ছিল না সে। তারপরেও কীভাবে সে একেবারে চিকিৎসকদের নিজস্ব কক্ষ সেমিনার হলে ঢুকে পড়েছিল। মদ্যপ অবস্থায় কীভাবে বহিরাগত একজন সেমিনার হলে ঢুকতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সকলেই। তারপর থেকে গোটা দেশ তোলপাড়। কলকাতা তো বটেই রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছে।
আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ চাপে পড়ে সোমবার অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন। কিন্তু তার ৬ ঘণ্টার মধ্যেই আবার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বসানো হয়েছে তাঁকে। এদিকে শোনা যাচ্ছে তদন্তকারী সিট সন্দীপ ঘোষকে তলব করতে পারে। ঘটনার দিন কী ঘটেছিল কে কোথায় ছিল এরকম একাধিক বিষয়ে জানতে তাঁকে লাল বাজারে তলব করা হয়ে পারে। এদিকে চিকিৎসক সংগঠনরা আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তায় চূড়ান্ত অব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন। এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন আগে মেয়ে নাইট ডিউটি করলেও গত কয়েকদিন ধরে নাইট ডিউটি করতে চাইছিলেন না নির্যাতিতা। তাহলে কি কোনও বিপদের কথা আঁচ করতে পেরেছিলেন তিনি। যদি আঁচ করে থাকেন তাহলে কোন বিপদের কথা আঁচ করেছিলেন তিনি। এই একই কথা জানিয়েছেন নির্যাতিতার বিশেষ বন্ধুও।