বিধানসভার অধ্যক্ষকে বাউন্সার দিন্দার
নিউজ ডেস্কঃ আজ ইডেনে বিশ্বকাপের ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ। টিকিটের হাহাকার। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে কালোবাজারি। বাড়ছে গ্রেফতারির সংখ্যা। বাজেয়াপ্ত টিকিটের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এরই মধ্যে ময়দান থানায় গিয়েছিলেন সিএবির প্রতিনিধিরা। সবমিলিয়ে টিকিটকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন পরিস্থিতি। তারই মধ্যে টিকিট কেলেঙ্কারির আঁচ গিয়ে পড়ল বিধানসভাতেও।
বিধায়কদের জন্য ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্য়াচের টিকিট চেয়ে সিএবিকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বিধানসভায় গিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। দাবিমতো ২৯৩টি টিকিট পৌঁছে যায় বিধানসভায়। লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নেন তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়করা।
জানা গিয়েছে, পাশাপাশি বসে খেলা দেখবেন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা। সেখানে ইন্ডিয়া বনাম ভারতের আঁচও পড়তে পারে। কেন না কেউ চেঁচাবেন ইন্ডিয়া-ইন্ডিয়া বলে। আবার ভারত লেখা ব্যানার তৃণমূল বিধায়কদের ধরিয়ে অস্বস্তি বাড়ানোর প্ল্যানও ছকেছেন কেউ কেউ। কিন্তু গোল বেঁধেছে ২৯৩ সংখ্যা নিয়েই।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য টিকিট চাওয়া হয়নি। ফলে ২৯৪ আসনের বিধানসভায় বিধায়কদের জন্য ২৯৩টি টিকিট চাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। প্রত্যেক বিধায়ককে একটি করে টিকিট বরাদ্দ করা হচ্ছে বিধানসভা থেকে। তারপরেও ইডেনের দুয়ারে হাজির হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের শাসক দলের মন্ত্রী, বিধায়কদের।
প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা আজ বলেন, কাল আমি সিএবিতে গিয়েছিলাম। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চাইলেন বিধায়কের সংখ্যা। এমনিতে তো সাধন পাণ্ডে প্রয়াত হওয়ায় সেই আসনে নির্বাচন হয়নি। ফলে ওখানে বিধায়ক নেই। মন্ত্রী, বিধায়করা তো জেলেও আছেন। তাতেও কেন ২৯৩টি টিকিট লাগল?
বিধানসভায় গিয়ে অধ্যক্ষকে এই প্রশ্ন করবেন বলেও জানান দিন্দা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহার পর এখন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও জেলে। ফলে তাঁদের টিকিট কে নিল সেই প্রশ্নই তুলে জেলে থাকা বিধায়ক ও মন্ত্রীদের টিকিট দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দিন্দা।
ক্রিকেটার দিন্দারই প্রাক্তন সতীর্থ মনোজ তিওয়ারি এখন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী। মনোজও টিকিট নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ মেনে ব্যোমকেশ বক্সীকে ডেকে তদন্ত করার কথা বলেছেন। দিন্দা আজ বলেন, মনোজ সম্ভবত ভাগেরটা না পেয়ে সরব হয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি তো মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকেই জিজ্ঞাসা করতে পারেন। ব্যোমকেশ বক্সীর মতো অত দূরে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।