বাজারে সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে!
নিউজ ডেস্ক ::টমাটো, ক্যাপসিকাম, বিন্স এই কয়েকটি সবজি অন্য রাজ্য থেকে আসছে। তাই দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। অন্যান্য সবজির দাম অনেকটাই কমে গিয়েছে। মধ্যবিত্তের নাগালে চলে এসেছে সবজির দাম। এ কথাই দাবি করলেন রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে।
আলুর দামে ছ্যাঁকা লেগেছিল মধ্যবিত্ত বাঙালির। চড়চড় করে দাম বেড়েছে জ্যোতি ও চন্দ্রমুখী আলুর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত আলুর দাম প্রসঙ্গে রেগে যান। রাজ্যে আলু উৎপাদনে দ্বিতীয়। তাহলে বাংলায় আলুর দাম এত বেশি কেন? সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট চলছিল। সেই কারণে আলুর যোগান তুলনামূলকভাবে কম ছিল। বাজারে আলুর দাম বাড়তে থাকে। বাইরে সাপ্লাই করার দরকার নেই। রাজ্যের মানুষের কাছে আলু পৌঁছে দিতে হবে। এই বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে টাস্ক ফোর্স বিভিন্ন বাজারে ঘুরছে৷ আলুর দাম কমানোর জন্য বারবার ব্যবসায়ীদের কাছে বলা হচ্ছিল। পাইকারি বাজারে আলুর দাম কিছুটা কমেছে। এই কথা সোমবার সকালে জানানো হয়। পাইকারি বাজারে আলুর দাম ২৬০০ টাকা।
গত ৯ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বৈঠক করেছিলেন। তিনি ১০ দিন সময় দিয়েছিলেন দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য। তার আগেই বাজারে সবজির দাম নিয়ন্ত্রণ হয়ে গিয়েছে। টাস্ক ফোর্স বিভিন্ন বাজারে গত ১০ তারিখ থেকে ঘুরছে। সবজির দাম প্রায় নর্মাল হয়ে গিয়েছে।
দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোনির সুপার মার্কেটে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কিলো দরে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে। যদিও বাইরের বাজারে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে জ্যোতি আলু। কলকাতার বিভিন্ন বাজারে জ্যোতি আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে। পাইকারি বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক ফিরে আসছে। আলুর খুচরো দর অনেকটাই কমেছে।
আজ সোমবারও বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পথে নেমেছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা৷ বাঁশদ্রোনির সুপার মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে পরিদর্শন করে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। সঙ্গে ছিল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ এবং নাকতলা থানার পুলিশ। আলুর বাজারের পাশাপাশি সবজি বাজার এবং মাছ মাংসের বাজারেও অভিযান চালায় টাস্ক ফোর্স এবং এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।