নতুন প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে, বসিরহাটে শুরু হল নাট্য বিদ্যালয়
নিউজ ডেস্ক: নাট্যব্যক্তিত্বদের শ্রম সংস্কৃতি চর্চার নতুন আলোর পথের দিশারী।
ভারতের প্রাচ্য সংস্কৃতির একটি বিশেষ প্রদর্শন হলো নাটক, যার মাধ্যমে মানুষের সম্মুখে এক আর্থ-সামাজিক ভাবধারা ফুটে ওঠে।
কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে এসে মানুষ হয়ে উঠেছে গ্যাজেট নির্ভর। বিজ্ঞানের কল্যাণে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের গ্যাজেট উন্নত থেকে উন্নততর হয়ে চলেছে, আর তা নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ছে যুব সমাজ। তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে সমাজ ও সামাজিকতার মূল স্রোত থেকে।
তাদেরকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে এনে সংস্কৃতি মনষ্ক করে তুলতে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় বসিরহাটের সাইপালা মুন্সির বাগানে।
আর সেখানে নাট্য বিদ্যালয় সূচনা হয়। চক্রবাক নাট্যগোষ্ঠীর উদ্যোগে বাংলার প্রাচীন কৃষ্টি নাটক সম্বন্ধীয় একটি বিশেষ আলোচনা সভা হয়।
সেই আলোচনা সভায় বক্তৃতা রাখেন নাট্য প্রেমী অনিল ঘোষ, অরবিন্দ সরকার, মণীশ ভট্টাচার্য সহ প্রমুখ ব্যক্তিত্ব। তাদের বক্তব্যে উঠে আসে কিভাবে যুব সমাজকে নাট্য মনষ্ক করে তোলা যায় এবং তা দিয়ে কিভাবে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো সম্ভব ইত্যাদি ইত্যাদি প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়।
যুব সমাজকে মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি থেকে দূরে রাখতে বিনামূল্যে নাট্য বিদ্যালয়ের সূচনা হয় এই আলোচনা সভা থেকে।
তার বলেন এতে শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সাথে সাথে যুব সমাজ সামাজিকতা শিখে যাতে সমাজবদ্ধ জীবের মতো আচরণ করতে পারে সেটাই লক্ষ্য এই নাট্য বিদ্যালয়ের বলে জানান চক্রবাকের সঞ্জয় চক্রবর্তী।
এই কর্মসুচিতে শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়ে জানায় “এই কর্মকান্ডে যোগ দিতে পেরে তারা খুশী, তারা এটাও বলে যে মোবাইল বা ল্যাপটপে সারাদিন বসে না থেকে এই ভাবে তারা নতুন কিছু শিখতে পেরে নিজেদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে তারা সক্ষম হবে।”