চিনা আলোর বদলে বাজার কাঁপাচ্ছে দেশীয় আলো
নিউজ ডেস্ক: ধোঁয়া, আগুন, দূষণ! তাই আতসবাজিকে না। বাহারি আলোকে হ্যাঁ বলছেন আমজনতা। সেইসঙ্গে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাকে হারিয়ে আশার আলো দেখাতে দীপাবলিকেই অস্ত্র করতে চান পরিবেশপ্রেমীরাও। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রচার। যেখানে এই দীপাবলিতে যে কোনও ধরনের বাজির উত্সব থেকে বিরত থাকতে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন রাখা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এ বারের উত্সবও হোক শুধুই আলোর। শব্দের নয়। তাই বাজি বাজার থেকে মুখ ফিরিয়েছেন সচেতন মানুষ। ভিড় জমছে নিরাপদ আলোর পসরায়। কলকাতায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়ছে। আশঙ্কা, মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে পারে। তাই এবছরও দীপাবলি হোক নতুন আশার আলোর, শব্দের দৌরাত্ম্যের নয়, এমনটাই মনে করছেন বেশিরভাগ ক্রেতা। যেকারণে, বৃষ্টিভেজা সোমবারের সন্ধেতে চাঁদনী চকের আলোর বাজারে ভিড় ছিল দেখার মতো। বিভিন্ন আলোয় ঝিলমিল করছে চাঁদনী চক, এজরা রোডের বাজার। তবে এবছর দীপাবলির আলোতে থাবা বসাতে পারেনি চিন। বিক্রেতারা জানালেন, চিন থেকে পণ্যবোঝাই কন্টেনার ঢোকেনি এখনও। যেকারণে বাজারজুড়ে দিল্লি ও বেঙ্গালুরুর লাইটের সম্ভার। চিনা আলো সস্তা হলেও লাভ কম। ‘দেশি’ আলোর দাম একটু বেশি হলেও লাভ বেশি। ক্রেতারাও নিজের দেশের জিনিস শুনে দাম নিয়েও বেশি মনমরা হচ্ছেন না। গতবছরও সাবেক পিদিম-মোমবাতির আদল ধরে রেখেও লুকোনো টুনিতে আলো জ্বেলেছিল চিন। পাশাপাশি ছিল চৈনিক এলইডি বাতির রমরমা। প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিতে না পেরে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল সাবেক টুনিবাল্বগুলির। এবছর সেই চিনা আগ্রাসন উধাও। বাজার মাতাচ্ছে দেশীয় বাতি। সোমবার সন্ধেয় খদ্দের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন চাঁদনি চকের আবদুল মান্নান। জানালেন, ৩০-৪০ টাকায় যে চিনা আলো মিলছিল, দেশীয় বাজারে তৈরি সেই আলোরই দাম পড়ছে ১০০ টাকার কাছাকাছি।