মিজোরামের কংগ্রেস প্রদেশ সভাপতি পদে ইস্তফা পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রীর
নিউজ ডেস্ক : মেঘালয়ে না পারলেও মিজোরামে দলের ভাঙন আটকাতে তৎপর কংগ্রেস। সদ্য পদত্যাগ করা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি লাল থানহাওলাকে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য করলেন সোনিয়া গান্ধী।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, পুরনো বন্ধু ও বিশ্বস্ত নেতার ইস্তফা অবশ্য শুরুতে স্বীকার করেননি সোনিয়া। বিভিন্নভাবে সিদ্ধান্ত বদল করার বার্তা দেন তিনি। এমনকী, থানহাওলাকে দিল্লিতেও ডেকে পাঠান সোনিয়া। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। অবশেষে শনিবার সরকারিভাবে চিঠি পাঠিয়ে তাঁর পদত্যাগ মেনে নেন সোনিয়া। থানহাওলার পদত্যাগের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার মিল পাচ্ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এভাবেই বয়সের কারণ দেখিয়ে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। প্রদেশ সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি রাজি হননি। বক্তব্য ছিল, তাঁর নেতৃত্বে চার বছর আগে গোয়ায় কংগ্রেস সর্বাধিক আসনে জিতলেও হাইকমান্ডের ব্যর্থতায় সরকার গঠন করা যায়নি। ফলে কিছুতেই কংগ্রেসে আর থাকতে রাজি হননি তিনি।
মিজোরামে কংগ্রেস ও লাল থানহাওলা প্রায় সমার্থক শব্দ। পাঁচ দফায় ২২ বছরেরও বেশি মুখ্যমন্ত্রী থাকার পাশাপাশি প্রায় পাঁচ দশক তিনিই ছিলেন মিজো কংগ্রেস প্রধান। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ১৯৭৩ সালে তাঁকে প্রদেশ সভাপতি করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল প্রবল। কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রায় সপ্তাহ তিনেক আগেই তিনি সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। যুক্তি ছিল এবার নতুনদের হাতে কংগ্রেসের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সময় এসেছে। তবে ৮০ বছর বয়সী কংগ্রেসী নেতা যে কিছুতেই রাজনৈতিক বনবাসে যাচ্ছেন না, তার প্রমাণও মেলে পদত্যাগপত্র পাঠানোর পর তাঁর কিছু বক্তব্যে।