তৃণমূলের প্রধানের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ!
নিউজ ডেস্ক::বীরভূমে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পদত্যাগ করলেন স্বেচ্ছায়। বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের দক্ষিণগ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল প্রধান শিউলি দে পদত্যাগের পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেন কেন? এই পদত্যাগের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা নিয়েই এখন চর্চা শুরু হয়েছে।
তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শিউলি দে-র বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা তৃণমূলের কাছে আবেদনপত্র জমা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এই অবস্থায় মুখ বাঁচাতে প্রধানকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সুযোগ করে দেয় দল। তবে দলের সকলেই প্রধান শিউলি দে ও তাঁর স্বামী জয়দেব দে-র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তিনি ও তাঁরা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন বলেও অভিযোগ তৃণমূলের।
তৃণমূলের একাংশের তরফে প্রধানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পর এলাকার জেলা পরিষদের কো-মেন্টর তৃণমূল নেতা ধীরেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে মধ্যস্থতায় দু-পক্ষ বৈঠকে বসে। এই বৈঠকের পরই কো-মেন্টর ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য দল তাঁকে প্রধান পদে থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। বুধবার পঞ্চায়েত প্রধান শিউলি দে-র পদত্যাগপত্র গ্রহন করে ময়ূরেশ্বরের ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অর্ঘ গুহ জানান, পঞ্চায়েত বিধি অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অভিযোগ, ভুয়ো ওয়ারিশন সার্টিফিকেট দিয়ে ভুল নামে জমির রেকর্ড করা থেকে পঞ্চায়েতের সমস্ত প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে প্রধানের আমলে। আবাস যোজনায় যাদের এলাকায় বাড়ি আছে তেমন লোকেদেরই নাম তালিকায় তুলে দিয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েক প্রধান। ফলে দলের মধ্যে বিস্তর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পানীয় জলের কল বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। অথচ কল সারাইয়ের একটি টাকাও নেই। শুধু দুর্নীতিতেই শেষ নয় অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে যুব সভাপতি সুশান্ত দেকে মারধরের অভিযোগও ওঠে। প্রধানরে স্বামী জয়দেবল দে জানান, সুশান্তবাবু আবাস যোজনায় গ্রাহকের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে টাকা তুলছিলেন। তাই এলাকার লোক তাঁকে মারধর করেছে।
দক্ষিণ গ্রামের সভাপতি দীনেশ কুণ্ডু জানান, প্রধানের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ, তার অনেকটাই স্বস্তি। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের যেমন অনেকটা সত্যি। তেমনই তাঁর বিরুদ্ধে অন্যান্য আরও অভিযোগ উঠেছে। দলের মুখ বাঁচাতেই তাঁকে পদত্যাগের সুযোগ দেওয়া হল। প্রধান শিউলি দে বলেন, আমি দলের নির্দেশে পদত্যাগ করলাম। আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ তোলা হচ্চে তা সর্বৈব মিথ্যা। পঞ্চায়েত উন্নয়নের টাকা এসেছে, তাই পরিকল্পিতভাবে আমাকে সরিয়ে দেওয়া হল।