‘বস্তি’ শব্দটা তুলে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী

0 0
Read Time:3 Minute, 0 Second

নিউজ ডেস্কঃ ‘বস্তি’ শব্দটা এসেছে ‘বসতি’ শব্দ থেকে। কিন্তু শব্দের অর্থের পরিবর্তন হয়ে এখন ‘বস্তি’ বলতে মূলত একটি অঞ্চলে বহু দরিদ্র মানুষের বাসস্থান বোঝায়। আর তাই বস্তি শব্দটি না-পসন্দ আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর। তৃতীয়ার বিকেলে ভার্চুয়ালি পুজোর উদ্বোধনের সময় নিজেই জানিয়ে দিলেন বস্তি শব্দে তার আপত্তির কথা । এদিন বিকেলে শহরের বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন হয় মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে। সেই তালিকায় ছিল আলিপুরের আমরা সকল পল্লি সমিতিও। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

পুজোর উদ্বোধনের সময় ফিরহাদ মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, “এই বস্তিটা চেতলার মধ্যে অন্যতম বড় লিড দেয় (শাসক শিবিরকে)। এরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কিছু জানেন না।” ফিরহাদ আরো কিছু বলতে চাইলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে বাধা দিয়ে জানতে চান ,ওই এলাকার সকলে ঠিকা-স্বত্ব পেয়েছেন কি না। মেয়র জানান, সকলেই পেয়ে গিয়েছেন। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ঠিকা-স্বত্ব পেয়ে গেলে তো নিজেদের জায়গা। এটাকে বস্তি বলবে না। এটা আমার মাটির কুটির, আমার ভালবাসার জায়গা, মায়ের আঁচল। বস্তি বলে কিছু হয় না। বস্তি কথাটা তুলে দাও।”

তিনি ওই শব্দের বদলে অন্য শব্দের সন্ধান করেন। তিনি নিজেই বিকল্প শব্দ হিসাবে ‘প্রয়াস’ বা ‘উত্তরণ’ শব্দর কথা বলেন। তখন ফিরহাদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন, তিনি যাতে একটি নাম ঠিক করে দেন। শেষে মমতা বস্তির বদলে ‘উত্তরণ’ শব্দটি ব্যবহারের জন্য বলেন। মেয়রের উদ্দেশে বললেন, “বস্তি শব্দটি আর বলবে না।” মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ পেয়ে ফিরহাদও জানালেন, পুরনিগমে তিনি এই শব্দটি ঠিক করে নেবেন। মমতার প্রস্তাব, এগুলিকে যেন উত্তরণ-১, উত্তরণ-২, উত্তরণ-৩ এভাবে নামকরণ করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পড়ে বহু স্থাননাম, রাস্তার নাম, স্টেশনের নাম তিনি পরিবর্তন করেছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই ‘বস্তি’ হতে চলেছে ‘উত্তরণ।’

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!