২৬৯ জন চাকরি থেকে বরখাস্তের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে – অরুণাভ ও বিকাশ
নিউজ ডেস্ক::সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চের তরফে এদিন জানানো হয়, মানিক ভট্টাচার্যকে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হলেও, পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্ট নিতে পারে না। এ বিষয়ে অরুণাভ ঘোষ বলেন, প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের পার্টি না করে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেও কোনও সুরাহা পাননি মানিক ভট্টাচার্য। অন্যদিকে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত চাকরি হারানো ২৬৯ জনকে পুনর্বহাল করা যাবে না। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন, জানি না হাইকোর্ট কোন গ্রাউন্ডে ওই রায় দিয়েছিল, চাকরি হারানোদের কোনও সুযোগই দেওয়া হয়নি। প্রিন্সিপাল অব ন্যাচারাল জাস্টিস লঙ্ঘিত হয়েছে এখানে। আমি প্রথম দিন থেকে বলছি, ওদের পার্টি করে চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে পারত। অরুণাভবাবু আরও জানান, মানিক ভট্টাচার্যকে ওভাবে ডেকে বলা উচিত হয়নি। তাঁর কাছ থেকে হলফনামা চাইতে পারত। তবে, সুপ্রিম কোর্ট কোন গ্রাউন্ডে স্থগিতাদেশ দিল তা আমি পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে না আসা পর্যন্ত বলতে পারব না।
অন্যদিকে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আপাতত স্থগিতাদেশ দিলেও তাঁকে কিন্তু ওই পদে ফেরানো যাবে না। স্থগিতাদেশ ব্যাপারটা শুধু আইনের সূক্ষ্মতা। এর কোনও কার্যকারিতা নেই মানিক ভট্টাচার্যের পক্ষেও। দুই, সিবিআই তদন্ত যেমন চলছে, তেমনই চলবে। তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট কোনওরকম হস্তক্ষেপ করেনি, করবেও না। আর ২৬৯ জন চাকরি প্রার্থীকে একটা সুযোগ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের কাছে গিয়ে হলফনামা দাখিল করার সুযোগ দিয়েছে তাঁদের নিয়োগগুলো অবৈধ নয় প্রমাণ করার জন্য।