Tripura Election 2023: বামেদের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করলেন মানিক সরকার
নিউজ ডেস্কঃ বঙ্গের পর ফের ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখোমুখি হচ্ছে বামেরা। একসময়ে বামেদের শক্তঘাঁটি ত্রিপুরায় থাবা বসিয়েছে গেরুয়া শিবির। বাম দুর্গে পদ্মফুল ফুটিয়েছেন মোদী-শাহরা। কিন্তু ১ বছরেই সেই দাপট ধাক্কা খেয়েছে। ত্রিপুরায় ফের বামেরা শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে।
কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে হঠাৎ করে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামেরা। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বামেরা। সেই ভুল কি এবার ত্রিপুরাতেও করবে তারা। ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
ত্রিপুরায় কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বামেরা। তার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই কি পশ্চিমবঙ্গের সমীকরণেই ত্রিপুরাতে হাঁটছে বামেরা। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-তৃণমূল কংগ্রেসকে রুখতে কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল বামেরা।
কিন্তু তাতে ভোট বাড়া তো দূরের কথা বামেরা প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বঙ্গ থেকে। তার অন্যতম কারণ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বলে মনে করা হচ্ছে। আলিমুদ্দিনের একাংশের নেতা সেকথা মেনেও নিয়েছিলেন। বামেদের একসময়ের প্রবল প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানো মেনে নিতে পারেননি অনেক বাম কর্মী সমর্থকই। তাঁরাও ভোট দেননি বামেদেরষ আবার ত্রিপুরায় সেই ফরমুলায় হাঁটছে বামেরা।
বাম-কংগ্রেস বোঝাবুঝি মানেই কি জোট। অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচনে কি জোট বেঁধে ত্রিপুরায় লড়বে বাম-কংগ্রেস তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শেেষ এই সন্দেহ দূর করলেন বাম নেতা এবং ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন ত্রিপুরায় বামেদের সঙ্গে জোট নয় বন্ধুত্বপূর্ণ বোঝাবুঝির পথে হাঁটছে তারা। অর্থাৎ কংগ্রেসের বিরোধিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামেরা। কিন্তু তার অর্থ জোট নয়। শুধু আসন ভাগাভাগি করা হবে কংগ্রেসের সঙ্গে। যদিও বামেরা কংগ্রেসকে ১৪টি আসন দিলেনও। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ১৭টি আসনে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছে। এই নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
বিজেপি-তৃণমূল কংগ্রেসকে এক আসনে বসিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন মানিক সরকার। তিনি সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস আর বিজেপির জন্য রাজ্যের গণতন্ত্র বিপন্ন হয়ে পড়েেছ। গোটা দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন। ত্রিপুরার মানুষ নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না। উন্নয়ন তো দূরের কথা গোটা ত্রিপুরার আরও ক্ষতি হয়েছে।
শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ত্রিপুরার মানুষের উপর চরম অত্যাচার হচ্ছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে মুক্তি চাইছেন ত্রিপুরার মানুষ। সেকারণে এবার বদল আসবেই বলে আশা প্রকাশ করেছেন মানিক সরকার।
বামেরা ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার প্রভাবশালী সংগঠন তিপ্রা মোহার সঙ্গে জোট গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হয়নি। যদিও তিপ্রা মোহা স্পষ্ট করেনি তাঁদের সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে।
সেক্ষেত্রে বিজেপির পর বামেরাই থেকে যাচ্ছে তাঁদের কাছে। কাজেই এখনই তিপ্রা মোহাদের সঙ্গে জোট নিয়ে আশা হারাতে নারাজ মানিক সরকার। তিনি বারবার বলেছেন আলোচনা চলছে দেখা যায় শেষ পর্যন্ত কোন দিকে গড়ায় জল।