ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে আচমকাই কোর্টে লুটিয়ে পড়ে মৃত্যু
নিউজ ডেস্ক : ব্যাডমিন্টন খেলার সময়ই আচমকা মৃত্যু হলো এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। মৃতের নাম শ্যাম যাদব, বয়স ৩৮। তিনি হায়দরাবাদের মলকজগিরির বাসিন্দা। এই নিয়ে গত সপ্তাহে তেলেঙ্গানায় পাঁচটি এমন ধরনের ঘটনা ঘটল। প্রফেসর জয়শঙ্করের ইন্ডোর স্টেডিয়ামের ক্যামেরায় গোটা ঘটনার ছবি ধরা পড়েছে।
ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি কোর্টের মধ্যেই লুটিয়ে পড়েছেন। তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে কিনা তা কয়েজন পরীক্ষা করে দেখছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, যদি অবিলম্বে জীবনদায়ী সিপিআরের বন্দোবস্ত করা যেত তাহলে বাঁচানোও যেতে পারতো ওই ব্যক্তিকে। মৃতের ভাই জানিয়েছেন, শ্যাম যাদব ক্রীড়াপ্রেমী ছিলেন। ব্যাডমিন্টনের পাশাপাশি ক্রিকেট-সহ অন্যান্য খেলাধুলোও চালিয়ে যেতেন। তিনি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিন কাজের শেষে নিয়মিত খেলাধুলো করতেন।
মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তিনি প্রয়াত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। শারীরিকভাবে ফিট মানুষজন হঠাৎই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যাচ্ছেন, এমন ঘটনা আজকাল প্রায়শই দেখা যাচ্ছে। তেলেঙ্গানায় এই নিয়ে গত ২ সপ্তাহে ৫টি ঘটনা ঘটেছে। তেলেঙ্গানার নির্মল জেলার পারদি গ্রামে (হায়দরাবাদ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে) আত্মীয়র বিয়েতে নাচার সময় হঠাৎই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে প্রাণ হারান একজন, যার বয়স ১৯।
২০ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদে হলদি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একইভাবে আচমকা মারা যান এক ব্যক্তি। নীচে ঝুঁকে পায়ে হলুদ মাখাতে গিয়েই তিনি লুটিয়ে পড়েন, মৃত্যুর কারণ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। ২৩ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের জিমে মারা যান ২৪ বছরের এক পুলিশ কনস্টেবল। ২৪ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদে এক শ্রমিক বাস ধরতে দাঁড়িয়েছিলেন। আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন, এরপর রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন।
চিকিৎসকদের পরামর্শ, সিপিআর কীভাবে দিতে হয় তা সকলের শেখা উচিত। তাতে অনেক জীবন বাঁচানো সম্ভব। যদি কারও হৃদস্পন্দন আচমকা থেমে যায় তাহলে মিনিটে ১০০ বার বুকে চাপ দিয়ে সেই স্পন্দন ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এটাকেই বলে সিপিআর। ছাত্র-ছাত্রী থেকে সফটওয়্যার প্রফেশনাল, ড্রাইভার-সহ সকলেরই এটা শিখে রাখা উচিত। হৃদস্পন্দন থেমে গিয়ে আচমকা এভাবে লুটিয়ে পড়াকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলে অ্যারিথমিয়া বা ইরেগুলার ইলেকট্রিক্যাল ইমপালসেস। বিভিন্ন উন্নত দেশে বিমানবন্দর, মল, রেল স্টেশন, জিমে সিপিআর দিতে পারদর্শীদের রাখা হয়। এতে অনেকেরই জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়।