থাইল্যান্ডে বিশ্বহিন্দু কংগ্রেসের প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত যোগী আদিত্যনাথ
নিউজ ডেস্ক::সুধীজনেতা বলেন,ধর্ম ধর্মের মতো থাকুক। আর রাজনীতি রাজনীতির মতো। এই দুটো পথ ভারতে চিরকাল আলাদাই ছিল। সম্প্রতি অবশ্য কখনো কখনো এই দুটি মিলে যাচ্ছে। আর তখনি সৃষ্টি হয় গন্ডগোল। তবে এই ক্ষেত্রটি অবশ্য আলাদা। গত বুধবার একটি খবরে প্রকাশ, থাইল্যান্ডের বিশ্ব হিন্দু কংগ্রেসে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। থাইল্যান্ডে ২৪ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত হবে এই অনুষ্ঠান। তা তে প্রধান অতিথি করে নিয়ে যাওয়া হবে যোগী আদিত্যনাথকে। বিশ্ব হিন্দু কংগ্রেসের প্রতিনিধি সুশীল কুমার স্রফ জানিয়েছেন,বিশ্ব হিন্দু কংগ্রেস এমন একটি সংস্থা যারা গোটা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা কোনও সমস্যায় পড়লে তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। সেই সম্মেলন হতে চলেছে আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে।
জানা যাচ্ছে এ বসিভর থাইল্যান্ডে এই বিশ্বহিন্দু কংগ্রেসের সভা হবে। তাতে গোটা বিশ্বে হিন্দু ধর্মের মানুষেরা যে সমস্যার মধ্যে পড়ছেন তা নিয়ে আলোচনা হবে। হিন্দু সন্ন্যাসী হিসেবেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে যোগী আদিত্যনাথকে। আদিত্যনাথকে রাজনীতিক নেতা হিসেবে নয়, ধর্মবেত্তা হিসাবেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু কংগ্রেস মনে করে,যোগী আদিত্যনাথ হিন্দু ধর্মের উন্নয়নে একাধিক কাজ করেছন। গোমাংস নিষিদ্ধ করা থেকে শুরু করে গোশালা তৈরি করা। পথে অনাথ ঘুরে বেড়ানো গরুদের জন্য নতুন গোশালা তৈরি করেছেন তিনি। স্বাভাবিক কারণেই হিন্দু কংগ্রেস আমন্ত্রণ জানিয়েছে যোগীকে।
বিশ্ব হিন্দুকংগ্রেস মনে করে যোগী আদিত্যনাথ ধর্মবেত্তা হলেও একজন আদর্শ রাজনীতিক। তিনি ধর্ম ও রাজনীতির কাজ একসঙ্গেই করে চলেছেন। হিন্দুদের উন্নয়নে একাধিক কাজ করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। সেই সঙ্গে রাজ্যের উন্নয়নেও তিনি কাজ করেছেন। চৈত্র নবরাত্রিতে রাজ্য জুড়ে রামায়ণ পাঠ করিেয়ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছিলেন তিনি। সেকারণে আরও বেশি করে যোগী আদিত্যনাথকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই অনুষ্ঠানে। এখন দেখার ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি যোগী যোগী আদিত্যনাথ কি বলেন।