তৃণমূলের হারের পরেই সাগরদিঘিতে ‘বন্ধ’ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা!
নিউজ ডেস্ক::তৃণমূলের হেরে যাওয়ার পরেই সাগরদিঘি বিধানসভা এলাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ। তার জেরেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাগরদিঘি বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার পরিষদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী।
প্রসঙ্গত সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের বাইরন বিশ্বাস। তার পর থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা গত দুই মাস ধরে পাচ্ছেন না এলাকার মহিলারা। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষের করের টাকায় রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের টাকা কেন মহিলারা পাচ্ছে না, তারই প্রতিবাদে সাগরদিঘি বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান অধীর চৌধুরীর।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হওয়া অবস্থান বিক্ষোভে অধীর চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেসের নেতরা। পরে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে বিডিওর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁর কাছে ডেপুটেশন জমা দেন।
জেলা কংগ্রেস সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মুর্শিদাবাদের প্রায় সব ব্লকের মহিলারা রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেয়েছেন। মুর্শিদাবাদের প্রায় সব ব্লক টাকা পেলেও সেই টাকা পাননি সাগরদিঘি ব্লকের মহিলারা। সাগরদিঘিতে কারও অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা না ঢোকায় রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে পরাজিত হয়েছে তৃণমুল কংগ্রেস। তাই সরকারের পক্ষ থেকে এখনে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দেওয়া হয়নি। এব্যাপারে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সাগরদিঘির বর্তমান বিডিও জানিয়েছেন, তিনি পয়লা এপ্রিল সেখানে কাজে যোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে মৌখিকভাবে জেনেছেন ৪ এপ্রিল। এদিনের কংগ্রেসের ডেপুটেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযোগপত্র তিনি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেবেন।
বুধবার বাঁকুড়ায় দলীয় প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ২০১৯-এ বাঁকুড়ায় তৃণমূলের ফল ভাল হয়নি। ২০২১-এও একই ছবি। পঞ্চায়েতে যদি তেমনটা হয়, তাহলে তৃণমূল বাঁকুড়ার মানুষের জন্য লড়াই করবে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের সঙ্গে সাগরদিঘিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা না পাওয়াকে মিলিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা।
মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি ব্লকের বেশিরভাগ মানুষ কৃষিজীবী৷ কেউ বা চায়ের দোকান চালিয়ে সংসার চালান৷ আবার কেউ বা গৃহশিক্ষকতার পেশায় নিযুক্ত। তবে হঠাৎই এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বন্ধ হওয়ার কারণে এবারে পথে নেমে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল জাতীয় কংগ্রেস।