আইন বহির্ভূতভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগ সরকারি আমলার বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিনিধি- আইন বহির্ভূতভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগ। অভিযোগের কাঠগড়ায় এক সরকারি আমলা। অভিযোগ তুলে সরব মালদ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। জানা গেছে, পুকুর ভরাটের মদত দেওয়ার অভিযোগ পুরাতন মালদার বি এল আর ওর বিরুদ্ধে। মাসিক রিভিউ মিটিং এ সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর এই অভিযোগ আনলেন মালদা জেলা পরিষদের বন ভূমি কর্মাধক্ষ্য পিঙ্কি সরকার। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানালেন বন ভূমি কর্মধক্ষ্য।
পুরাতন মালদার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের বি এল আর ও সুশান্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সরাসরি লিখিত অভিযোগ করেন পিংকি সরকার। বারবার জলাশয় ভরাটের অভিযোগ করে কোন ফল না পেয়ে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের কাছে অভিযোগ করেন পিংকি সরকার। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মাসিক রিভিউ মিটিংয়ে এই নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ। এরপরে ডি এল আর ও তদন্তের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য পুরাতন মালদা ব্লকের বিঘার পর বিঘা পুকুর ও জলাশয় ভরাট হয়েছে বেআইনিভাবে। সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা ছাড়া এই জলা জমি ভরাট করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। এবং জমির রেকর্ড চেঞ্জ করে দেওয়া হচ্ছে। রাতারাতি পাল্টে দেওয়া হচ্ছে জমির চরিত্র। আর এই আধিকারিকদের সঙ্গে জমি মাফিয়া ও শাসক দলের নেতাকর্মীরাও এর সঙ্গে যুক্ত। সব মিলিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে এই পুকুর ভরাট নিয়ে। কোন ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোন রকম তদন্ত করেনি। বরং জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আড়াল করেছে তাদের অভিযোগ করলেন বন ও ভূমি কর্মদক্ষ পিংকি সরকার।
জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর আধিকারিক পাল দেন শেরপা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এস ডি এল আর ও কে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে।