মঙ্গলবারে সাংবাদিক বৈঠকে কি কি বিষয়ে ছাড় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী জেনে নিন

0 0
Read Time:4 Minute, 0 Second

নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় দফার লকডাউনের শেষ সপ্তাহে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে তিনি অনেকগুলি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় নিয়ে জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে তিনি কোনও সাহায্য পাননি। খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাকে। এমনকি কেন্দ্র নাকি বকেয়া ৫২ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছেনা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য খরচের টাকা এখনও বাকি রেখেছে। তিনি আরো জানিয়েছেন, দু মাস ধরে বন্ধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। রাজ্যের প্রত্যেকের রুজি-রোজগার শেষ হতে চলেছে। করোনা ছিল, আছে, থাকবে। এই ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলতে হবে আমাদের। এছাড়াও এই দিনের বৈঠকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছার দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, করোনা এখনই যাবে না। পরিকল্পনা ছাড়া লকডাউন করা সমস্যা হবে। পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রথম দফার ছার কাল থেকে শুরু হবে। ২১ মে দ্বিতীয় দফার ছার। এমনকি স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের বলা হয়েছে খেয়াল রাখতে যে এলাকায় কারা মাস্ক পরে রাস্তায় বের হচ্ছে এবং কারা মাস্ক ব্যবহার করছে না।

বৈঠকে তিনি আরও জানিয়েছেন, সারাদেশের মধ্যে বাংলা করোনা আক্রান্তে ১০ নম্বরে রয়েছে। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, এই সময় রাজনীতি করার সময় নয়। লড়াই করে ভাইরাস জয় করার সময়। যারা রাজ্যে দাঙ্গা করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিতে হবে পুলিশকে। রাজ্যের আইন আইনের মতো চলবে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে সবাই একসঙ্গে লড়াই না করলে করোনা মোকাবিলা করা যাবে না।

যে যে বিষয় ছার দেওয়া হয়েছে সেগুলো হল:

  • বিড়ি শিল্প ৫০ শতাংশ খোলা হবে।
  • আমদানি ও রফতানির পরিষেবা চালু করা হচ্ছে।
  • ছার দেওয়া হয়েছে চা শিল্পে।
  • রাজ্যে বেসরকারি বাস নিজ নিয়মে চলতে পারে।
  • সরকারি বসে ২০ জনের বেশি উঠতে পারবে না।
  • এডিটিং, ডাবিং, মিক্সিং এ ছার দেওয়া হয়েছে।
  • বাস, ট্যাক্সি চলবে গ্রীন জোন এলাকায়।
  • ক্ষুদ্র-মাঝারি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা শুরু করা হবে
  • ডিজিটাল রেশন কার্ড বা রেশন কার্ড না থাকলেও রেশন পাবে প্রত্যেকে।
  • তাতি সাথী, তাঁতী হাট, খাদি বাজার খুলে দেওয়া হচ্ছে।
  • ১১ লক্ষ কৃষাণকে ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে।
  • কোন কোন জোনে কি কি দোকান খোলা হবে তা ঠিক করবে পুলিশ।
  • মানুষ যেন প্রয়োজনে চিকিৎসা পায় সেদিকে নজর দিতে হবে।
  • গ্রামগঞ্জে নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে।
  • জুয়েলারি, ইলেকট্রিক এবং ইলেকট্রনিক্স দোকান খোলা হবে।
  • তিন মাসের জন্য স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে।
  • ১০০ দিনের কাজের উপর গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
  • স্বনির্ভর গোষ্ঠী কে দিয়ে মাছ ও গ্লাভস তৈরি করাতে হবে।
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!