পরিবর্তনের হাওয়ায় নয় বছর পেরোলো মা-মাটি-মানুষের সরকার
নিউজ ডেস্ক: ১৩ মে অর্থাৎ আজকের দিনটি ঐতিহাসিক একটি দিন। পশ্চিমবঙ্গের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক দিন।
দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম রাজত্বকে ভেঙে দিয়ে পরিবর্তনের পথে এগিয়েছিলেন মা-মাটি-মানুষের সরকার। ২০১১ সাল থেকে ২০২০ সাল, দীর্ঘ নয় বছরের কঠিন পথ অতিক্রম করেছে তৃণমূল কংগ্রেস অর্থাৎ বর্তমানে পশ্চিম বাংলার রাজ্য সরকার। বিরোধীদের অতিক্রম করে দৃঢ় নিষ্ঠায় এগিয়ে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
এই সরকারের অভিনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে বিধানসভায় ১৮৪ টি আসনে জয় লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেদিন থেকেই পশ্চিমবাংলা এক নতুন পরিবর্তনের পথ দেখেছিল। ৩৪ বছরের বাম রাজত্ব যা করতে পারেনি তা মাত্র ৯ বছরের করে দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। খারাপ সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন দুঃস্থ মানুষের।
কঠিন হাতে দমন করেছেন দুর্নীতি। তাঁর রাজত্বে সেজে উঠেছে ‘সিটি অফ জয়’ কলকাতা। উন্নয়ন ঘটেছে রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলাতেই। মিথ্যার প্রতিবাদ করেছেন এবং সত্যের পথে হেঁটেছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যিনি প্রথম শুরু করেছিলেন নিজের রাজ্যে বিভিন্ন প্রকল্প। যার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য কন্যাশ্রী প্রকল্প। যার জন্য তিনি বিদেশে গিয়েও পুরস্কৃত হয়েছিলেন। তার প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল বাংলায় প্রতিটি কন্যা সন্তান যাতে নিজেদেরকে শিক্ষিত করে তুলতে পারে। এছাড়াও রূপশ্রী প্রকল্প, বেকার ভাতার মতো বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প তিনি নিয়ে এসেছেন। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ এর উৎসকেও তিনি আনন্দের সঙ্গেই স্বাগত জানায় সব সময়।
মায়েদের সম্মান জানিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তৈরি করেছেন মা ফ্লাই ওভার। সবই মায়েদের সম্মান জানিয়েই। বর্তমানে বিশ্ব সহ দেশসহ রাজ্য এক কঠিনতর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে এগোচ্ছে। সেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মানুষকে বাঁচাতে নিজেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন রাস্তায়। উদ্যোগী হয়েছেন কি করলে, কী কী ব্যবস্থা নিলে বাঁচানো যাবে বাংলার মানুষকে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বাংলার দুঃস্থ মানুষের দিকে। এছাড়াও এই দিনটিকে স্মরণে রেখে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছেন, মা মাটি মানুষের সরকার মানব কল্যাণ উন্নয়নের পথে ব্রতী ছিল, আগামী দিনেও থাকবে।