প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব সমস্ত সদস্য
মালদা ♦ বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে সরব পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ সমস্ত সদস্য।ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মিলিত ভাবে পঞ্চায়েতের ১৬ জন সদস্য।দুর্নীতির অভিযোগের ঘটনা সামনে এসেছে মালদার মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিউটি মন্ডলের বিরুদ্ধে।দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে মানিকচক পঞ্চায়েতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এক প্রকারের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও চক্রান্ত করে পদ থেকে সরানোর চেষ্টা অভিযোগ তুলেছেন পঞ্চায়েত প্রধান।ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফে অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
বিজেপি পরিচালিত মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদে রয়েছে বিউটি মন্ডল।এই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শঙ্কর মন্ডল সহ বিজেপি সহ অন্যান্য দলের সদস্যরা মিলিত হয়ে প্রধানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ, প্রধান দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্যদের অন্ধকারে রেখেই চুপিসারে প্রায় পাঁচ লক্ষের বেশি টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছে। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় যে সমস্ত প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা সমস্ত দেই প্রধান নির্বিকার ভূমিকায়।অর্থ তছরুপ ও জড়িত থাকার কারণেই অর্থের মিটিং ভেস্তে গেছে।
পঞ্চায়েতের সদস্য অসীম মন্ডল বলেন,পঞ্চায়েতের বার্ষিক বাজেট মিটিং তিনবার ভেস্তে গেছে। সাধারণ মানুষকে কোন কাজ করেনি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। কোন রকম নিয়ম নীতি না মেনে সমস্ত সদস্যদের অন্ধকারে রেখে পঞ্চায়েত প্রধান যা ইচ্ছা তাই করছেন পঞ্চায়েতে।লকডাউন শুরুর পর থেকেই কোনরকম সরকারি নিয়ম নীতি না মেনে পাঁচ লক্ষেরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করে ফেলেছেন পঞ্চায়েত প্রধান বিউটি মন্ডল।সাধারণ মানুষের জন্য কোন কাজ না করেই এত টাকা নিজেই আত্মসাৎ করে ফেলেছেন তিনি।এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে সমস্ত সদস্য মিলিত ভাবে ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন।আমরা চাই এই প্রধানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত বেবস্থ্যা ও পদ থেকে অপসারণের দাবি তুলেছেন পঞ্চায়েত সদস্যরা।
প্রধানের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে সুর চড়িয়েছেন বিজেপির উপপ্রধান শংকর মন্ডল।তিনি বলেন, দলীয় প্রধান হলেও বর্তমানে তিনি দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। একের পর এক দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে পঞ্চায়েতে। ফলে সমস্ত সদস্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং সঠিক তদন্ত ও ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন।
পঞ্চায়েতের তরফে কোনও রকম সুবিধা না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরাও। এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকদের অভিযোগ, অন্যান্য পঞ্চায়েতের তরফে পরিচয় শ্রমিকদের জন্য অনেক ব্যবস্থা ব্যবস্থা করা হলেও এই মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ কোনরকম কিছুই ব্যবস্থা করা হচ্ছে না পঞ্চায়েতের তরফে। এখনো পর্যন্ত কোন সুবিধা দেওয়া হয়নি ভিনরাজ্য থেকে ফিরে আসা কর্মহীন শ্রমিকদের।
যদিও পঞ্চায়েত প্রধান বিউটি মন্ডল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।চক্রান্ত করে বিজেপির উপপ্রধান ও অন্যান্য সদস্যরা পদ থেকে সরানোর জন্যই মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।তিনি বলেন,সমস্ত সিদ্ধান্ত পঞ্চায়েতের সদস্যদের নিয়েই খরচ করা হয়েছে। বিজেপি সহ সমস্ত সদস্য চাইছে উপপ্রধানকে প্রধানের দায়িত্বভার পাইয়ে দিতে।অবৈধ ভাবে টাকা মেরে বিজেপির সদস্যদের খাওয়ানো হচ্ছে না বলেই বিজেপির সদস্যরা এই চক্রান্ত করে উপপ্রধানকে দায়িত্বভার দিতে চাইছে বলে জানিয়েছেন প্রধান।৪৫ হাজার টাকা তোলা হয়েছিলো পঞ্চায়েতের সকল কর্মীদের নির্দেশ মতোই।যা অভিযোগ রয়েছে তদন্ত করুক প্রশাসন।