স্পোর্টস এন্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন ও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে শহীদ রাজেশ ওরাং জন্য মৌন মিছিল
সৌগত মন্ডল রামপুরহাট-বীরভূম
সারা বিশ্ব জুড়ে আমরা ” যুদ্ধ নয় ,শান্তি চাই। ধ্বংস নয় ,সৃষ্টি চাই ” — এইসকল যুদ্ধ বিরোধী আওয়াজ তুলেও ক্ষান্ত করতে পারছি না স্বদেশ ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের রাজাদের ।আবার কথাতেই আছে রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় , উলুখাগড়ার প্রাণ যায় – প্রবাদ প্রবচন যাই থাকুক, নিজের রাষ্ট্রের বা ঘরের ছেলেদের বহিঃশত্রুরা এসে আক্রমণ করবে , রক্তাক্ত করবে — ইটা কোন ভারতমাতার সন্তান সহ্য করতে পারে ? বলুন তো !
গত কয়েকদিন আগে গভীর রাতে ভারত চীন সীমান্তবর্তী গলওয়ান উপত্যাকায় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের খবর আমরা সবাই শুনেছি , এবং ভারতের কর্নেল সহ শহীদ হয়েছিলেন ২০জন সেনা তার মধ্যে একজন বীরভূমের মহম্মদবাজার থানা এলাকার বেলগড়িয়া গ্রামের যুবক রাজেশ ওড়াং, বয়স ২৬ । ২০১৫ সালে কাজে যোগদান করেছিলো এই যুবক, তারপর থেকে ভারত- চিন সীমান্তেই পোস্টিং ছিলো তার৷ এরপর তার গ্রামে খবর এসে পৌছায় তার মৃত্যুর । দেশের জন্য প্রান দিয়েছে ছেলে গর্বিত গোটা গ্রামসহ তার পরিবার । খবর পেয়ে তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীরা ও প্রশাসনের আধিকারিকরা । তার দেহ আসার পরে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুটের মাধ্যমে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল। পুরো বীরভূম বাসি শোকে মর্মাহত চোখের জলে বিদায় দিয়েছিলেন তাকে। তাই বীরভূম জেলার রামপুরহাট থানার অন্তর্গত কাষ্টগড়া গ্রামের স্পোর্টস এন্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন ক্লাব ও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে শহীদ রাজেশ ওরাং জন্য মোমবাতি ও জাতীয় পতাকা নিয়ে মৌনমিছিল করে, আত্মার শান্তি কামনা করেন। এদিন শহীদ রাজেশ এর জন্য গ্রামে মোমবাতি হাতে নিয়ে পথপ্রদর্শন করেন তারপরে তার ছবিতে মাল্যদান ও ফুলের স্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রত্যেকে। এবং রাজেশের ও তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা, প্রণামও সমবেদনা জানান। ৮ থেকে ৮০ শুরু করে মহিলারাও সকলে উপস্থিত ছিলেন। কাষ্ঠগড়া স্পোর্টস এন্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি বিবেক গুপ্ত মহাশয় জানান, “শহীদ রাজেশ আমাদের সকলের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে ।তিনি দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন ।ভারত মাতার বীরভূমের পুত্র এই বীর শহীদ কে জানাই প্রণাম ও শ্রদ্ধা”।