লকডাউনের মধ্যে শিল্পতালুকে বন্ধ হলো শিল্প
নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের কারণে রাজ্য সরকারের জুলাই মাসের প্রস্তাবিত তিন দফার লকডাউনের অন্তিমদিনে রাণীগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্পতালুকে কারখানা বন্ধের নোটিশ লাগিয়ে দিল কতৃর্পক্ষ। গতকালই বক্তারনগরের জেসিস ইস্পাত কারখানার কর্মীরা বকেয়া বেতন এবং অগ্রিম বেতনের দাবীতে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। কারখানার ম্যানেজার অরবিন্দ তিওয়ারি গতকাল কর্মীদের আশ্বস্ত করেছিলেন উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে জানানো হবে। চব্বিশ ঘণ্টা পার হবার আগেই কারখানা কতৃর্পক্ষ শ্রমিকদের গাফিলতির কারনে ফার্ণেশ বন্ধ করা, মোটর জ্বলে যাওয়া এবং বিনা কারণে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান এবং শ্রমিকদের অসহযোগিতার জন্য কারখানা বন্ধের নোটিশ লাগিয়ে দেন কারখানার গেটে। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকরা ইউনিয়নকে জানাবার পর ইউনিয়ন থেকে এসে নোটিশ দেখার পর জানান মঙ্গলপুর শিল্পতালুকে জেসিস ইস্পাত কারখানায় প্রথমে ৮০ জন শ্রমিক কাজ করতো বর্তমানে ৩৫ জন শ্রমিক কাজ করে। লকডাউনের পর এলাকার সব কারখানা খোলার পর জেসিস কারখানা খোলা হয়। প্রায় তিন মাস পর কারখানা খোলার পর মালিকের সাথে বসে লকডাউনের সময় থেকে যে সব কর্মীরা কাজ করছিলেন তাদের ৫০০০ টাকা করে দেবার কথা হয়, কতৃর্পক্ষ শ্রমিকদের ৩০০০ টাকা দেয় বাকী ২০০০ টাকা পরে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন। ইতিমধ্যে শ্রমিকরা তাদের ৪০০০ টাকা অগ্রিম দেবার আবেদন করে এবং মঙ্গলবার তারা এখানে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। আজ সকালে নোটিশ লাগাবার খবর পাবার পর মালিকের সাথে আলোচনা হয় শ্রমিক এবং ইউনিয়নের সাথে বসে মিমাংসা করে কারখানা চালু করার আবেদন করা হয়। মালিক কথা দিয়েছেন কয়েকদিনের মধ্যে তিনি আলোচনায় বসতে রাজী আছেন। অন্যদিকে কারখানার ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার জানান গতকাল শ্রমিকদের অগ্রিমের কথা উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে চূড়ান্ত হয়ে গেছে তারপর শ্রমিকদের অসহযোগিতার কারণে মোটর জ্বলে গেছে, ফার্ণেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফলে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে গতকাল এমত অবস্থায় কারখানা পুনরায় চালু করার ব্যাপারে উর্ধতন কতৃর্পক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।