৩৪ বছর পর জাতীয় শিক্ষানীতিতে নয়া বদল

0 0
Read Time:2 Minute, 50 Second

নিউজ ডেস্ক: ৩৪ বছরের জাতীয় শিক্ষানীতিতে আসতে চলেছে নয়া বদল। নেওয়া হচ্ছে নতুন কিছু পদক্ষেপ। যাতে দেশের ৫০ শতাংশ পড়ুয়া উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হতে পারে তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তারপর মাল্টিপল এন্ট্রি এক্সিট এর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষানীতিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপরে নজর দেওয়া হয়েছে।

তা হলো পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষার জোর দেওয়া হয়েছে। স্কুলের পাঠ্যসূচিতে মূল ধারণা এ নামিয়ে আনা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে বৃত্তিমূলক শিক্ষা। মার্কশিট এর নম্বর এবং পরিসংখ্যান এর পরিবর্তে প্রাধান্য পাবে পড়ার দক্ষতা ও যোগ্যতা। পড়ুয়াদের জ্ঞানের প্রয়োগের উপর ভিত্তি করে বোর্ডের পরীক্ষা নেওয়া হবে। M.Phil কোর্স উঠে যেতে চলেছে। ল’ এবং মেডিক্যাল ছাড়া বাকি সমস্ত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার ছাতার তলায় আসতে চলেছে। সরকারি ও বেসরকারি নির্বিশেষে সমস্ত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জন্য অভিন্ন রেগুলেশন চালু হবে। যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা ক্ষেত্রে জিডিপি ৬ শতাংশ লগ্নি করবে সরকার। যেকোনো অনুমোদনের ক্ষেত্রে পরিদর্শনের পরিবর্তে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে স্বঘোষিত ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। আঞ্চলিক ভাষায় অনলাইন কোর্সের জোর দেওয়া হবে। সবার কাছে শিক্ষার সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়াও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত আটটি সেমিস্টার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। দ্বাদশ শ্রেণীতে বোর্ডের পরীক্ষা আটটি সেমিস্টারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দশম শ্রেণী পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তিন বছরের গ্র্যাজুয়েশন কোর্স উঠিয়ে দিয়ে তা পাঁচ বছরের করা হচ্ছে। অর্থাৎ গ্র্যাজুয়েশন এর সঙ্গে মাস্টার্স একসঙ্গে করার সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!