বেড়ে চলেছে ডুয়ার্সে হাতির মৃত্যু সংখ্যা
জলপাইগুড়ি: দিন দিন ডুয়ার্সে বেড়েই চলেছে হাতির মৃত্যুর সংখ্যা। প্রতি বছর পাওয়ার ফেন্সিং এর ফলে প্রচুর হাতির মৃত্যু হয় বিভিন্ন এলাকায়। সেই বিষয়টি নিয়ে বন বিভাগ এন জি ও, ফরেস্ট প্রোটেকসন কমিটি, বিভিন্ন চা বাগানের মেনেজার, বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এর প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা হয় ওদলাবাড়ী কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির হলঘরে।
প্রায়ই দেখা যায় বর্ষাকালে বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গলে ইলেকট্রিক এর তারের উপরে গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে বিপদজনক ভাবে মাটিতে পড়ে থাকে,এবং কৃষকরা ধান বাঁচানোর জন্য ধানক্ষেতের চারিদিকে পাওয়ার ফেন্সিং করে থাকে যার ফলে হাতি সেখানে এলে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে মারা যায় এবং বিভিন্ন চাবাগান গুলিতে কাঁটা তারের বেরা দোওয়াতে হাতিদের যাওয়া আসার পথ অর্থাৎ করিডোরে বাধা প্রাপ্ত হয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে একটি সার্ভে টিম গঠন করা হবে যেই টিম বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখবেন। যে জায়গায় হাতির করিডর রয়েছে সেইসব জায়গা গুলিতে যাতে কোনরকম পাওয়ার ফেন্সিং না হয় এবং কোন বিদ্যুৎ পোলের তার যাতে হাতির নাগালে না থাকে সেইসব লক্ষ রাখবে এবং এই কারণ গুলিতে যাতে আগামীদিনে হাতির মৃত্যু না হয় সেই বিষয় গুলি নিয়ে আজ আলোচনা চলে।
এই মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন বৈকন্ঠপুর এ ডি এফ ও রাহুলদেব বর্মন,তারঘেরা রেঞ্জ অফিসার শুভজিৎ মৈত্র,আপালচান রেঞ্জ অফিসার কুনাল বর্মন,মাল বন্য প্রানী দপ্তরের। রেঞ্জ অফিসার বিভূতিভূষণ দাস, ওদলাবাড়ী ন্যাস এর পক্ষ থেকে নফসর আলী, সোর্প এর তরফ থেকে শ্যামাপ্রসাদ পান্ডে, ও বিভিন্ন চাবাগানের প্রতিনিধিরা।