ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের কামরে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির
নিউজ ডেস্ক: ঘুমন্ত অবস্থায় বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির ( ৫১ )। পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাম জগবন্ধু কর্মকার। বাড়ি নবদ্বীপ ব্লকের অন্তর্গত মায়াপুর বামনপুকুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ইদ্রাকপুর এলাকায়। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে রবিবার আনুমানিক রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানতে পারা যায়, রবিবার আনুমানিক রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ পেশায় দিনমজুর জগবন্ধু বাবু বাড়ির বারান্দায় ঘুমোচ্ছিলেন। ঘুমের ঘোরে হঠাতই একটি বিষধর সাপ তার ডান হাতের আঙুলে কামড় বসিয়ে দেয়।সাপের ছোবল খেয়ে যন্ত্রনায় প্রবল চিৎকার করতে থাকেন। তার চিৎকারে পরিবারের লোকেদের ঘুম ভেঙে যায়। জগবন্ধু বাবুর পাশাপাশি তার স্ত্রীও চিৎকার করতে করতে থাকেন। স্ত্রী ও জগবন্ধু বাবুর চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশি ও আত্মীয়রা। তাকে প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে বাধ সাধে ভাগীরথী নদীর জল। বহু কষ্টে নৌকার মাঝি কে ঘুম থেকে ডেকে জগবন্ধু কে নবদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সম্প্রতি ভাগীরথী নদীর জলস্ফীতির ফলে ইদ্রাকপুর থেকে নবদ্বীপ আসার একমাত্র রাস্তা জলমগ্ন। সেই রাস্তায় এক মানুষ উচ্চতায় জল। ফলে ইদ্রাকপুরের হাজার পাঁচেক মানুষকে একমাত্র নৌকায় ভরসা করতে হয়। সেই নৌকাও দিনভর চলার পর রাত নটার পর বন্ধ। ফলে রাত নটার পর প্রয়োজনে নৌকা পাওয়া মুশকিল। ঠিক এভাবেই ফি বছর বর্ষার পর থেকে টানা দুমাস মায়াপুর বামনপুকুর ২ নং পঞ্চায়েতের ইদ্রাকপুর গ্রামের প্রায়পাঁচ হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসীর কথায় প্রতি বছর বর্ষা এলেই গালভরা প্রতিশ্রুতি দেয় স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে বিধায়ক। কিন্তু বর্ষা চলে গেলেই যে কে সেই। ওই গ্রামবাসীর কথায় একদিন এভাবেই ভব লোকে যাব , কিন্তু রাস্তা ঠিক হওয়াটা বোধয় দেখা হবেনা। দুপুরে সর্পঘাতে মৃত্যু হওয়া জগবন্ধু কর্মকারের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠায় নবদ্বীপ থানার পুলিশ।