একজন মানুষের ভেতরেই দুই রূপ! ডাক্তার ও পুলিশ
মালদা: ডাক্তার এবং পুলিশ দুই একসাথে। আর এমন একজন পুলিশ কর্তাকে পেয়ে অনেক বড় সমস্যার সমাধান করে ফেলছে মালদা জেলা পুলিশ। বিশেষ করে এই করোনা আবহে। ডাক্তারদের সাথে যৌথ উদ্যোগে করোনা আক্রান্তদের নিয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষণের জন্যে একটি দল গঠন করেছেন ডাক্তার এবং এই পুলিশ কর্তা। নাম ডাক্তার হোসেন মেহেদী রহমান । তবে এখন তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার। মালদা জেলা পুলিশে কর্মরত। পরিবারের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে তিনি ডাক্তারি পড়েছিলেন। একদিকে যখন জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার গুরু দায়িত্ব পালন করছেন তেমনি অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত সহকর্মীদের চিকিৎসা পাশাপাশি তাদের সাহস জোগাচ্ছেন এমনই এক চিকিৎসক তথা আইপিএস কে পেয়ে জেলা পুলিশ গর্বিতই বোধ করছেন। মালদা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার ডাক্তার হোসেন মেহেদী রহমান বাড়ি উত্তর দিনাজপুরে।২০১২ সালে আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিবিএস পাশ করেন তারপর ২০১৪ সালে লখনউ থেকে কমিউনিটি মেডিসিনের উপর এমডি করেন। পরিবারের ইচ্ছা সফল হওয়ার পাশাপাশি নিজের ইচ্ছে ছিল পুলিশ সার্ভিস পরীক্ষায় বসার ।
সেই মতো ২০১৬সালে আইপিএস হন তিনি। বর্তমানে তিনি করোনায় আক্রান্ত পুলিশকর্মীদের দেখ ভালের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন । মালদা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার ডাক্তার হোসেন মেহেদি রহমান জানান পরিবারে ইচ্ছেমতো তিনি ডাক্তার হয়েছেন । নিজের ইচ্ছেও পূরণ করেছেন। যোগদান করার পর প্রথমে হায়দ্রাবাদে প্রায় দু’বছর আইপিএসের প্রশিক্ষণ নেন ।
তারপর চাকরিতে যোগদান করার পর প্রথমে ব্যারাকপুরের এসিপি হয় । তারপর আলিপুরদুয়ারের এসডিপিও পদে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মালদায় আসেন তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার হয়ে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেড কোয়াটার ডাক্তার হোসেন মেহেদী রহমান।