স্বাধীনতা দিবসের দিন পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধরের অভিযোগ উঠল ভিলেজ পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার এর উপর

0 0
Read Time:4 Minute, 54 Second

মালদা: গ্রামের এক ভিলেজ পুলিশ এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধরের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ আগস্ট মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর কনুয়া বাজার এলাকায় । ঝামেলার সূত্রপাত একটি বালি বোঝাই লরি কে সাইড দেওয়া নিয়ে দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তোফাজ্জল হক এর সঙ্গে বিবাদে জড়ায় ওই এলাকার ভিলেজ পুলিশ তারিকুল ইসলাম ও তার ভাই সিভিক ভলেন্টিয়ার হাবিবুর রহমান। অভিযোগ এই বিবাদ শেষ পর্যায়ে হাতাহাতিতে গড়িয়ে যায়। প্রধান কে লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করেন সিভিক ভলেন্টিয়ার ও গ্রামীণ পুলিশ দুই ভাই।তাকে দীর্ঘক্ষণ শ্বাসরোধ করে রাখা হয় বলে অভিযোগ।

দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাফাজ্জুল হক অভিযোগ করেন ,”স্বাধীনতা দিবসের দিন সকাল এগারোটা নাগাদ বিশেষ কাজে কনুয়া বাজার এলাকায় গেছিলাম। সেখানে তারিকুল ইসলাম নামে এক গ্রামীণ পুলিশ ও তার ভাই হাবিবুর রহমান নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার সঙ্গি সাথি নিয়ে আমাকে আক্রমণ করেন। কিল চড় ঘুষি সহ আমার উপর আক্রমণ চালায়। লাঠি শাবল দিয়ে আমার বুকে পিঠে আঘাত করে। দীর্ঘক্ষণ আমার শ্বাসরোধ করে রাখে। স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় আমি মুক্ত হই। আমি হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা তে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।” তিনি আরোও বলেন, ” এমনকি আমাকে প্রাণে মারার চেষ্টাও করা হয় | “

এদিকে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার হাবিবুর রহমান জানান তাদের একটি বালি বোঝাই লরি বেজপুরা গ্রামের দিকে আসছিল। গাড়িটির পেছনে প্রধান এর গাড়ি ছিল।রাস্তা ছোট থাকায় লরিটি প্রধানের গাড়িকে সাইড দিতে না পারায় প্রধান আমাদের বালির গাড়িটিকে আটকায়। এবং গাড়িটি ড্রাইভারকে মারধর করে। আমরা তা জানতে পেরে ওই এলাকায় ছুটে যাই। এ বিষয়ে প্রধান কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি দলবল নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হন। এ বিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।

স্থানীয় বাসিন্দা হায়দার আলী জানান আমরা শুনতে পেলাম কনুয়া বাজার এলাকায় দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তোফাজ্জল হক এর গাড়ি আটকে স্থানীয় এক গ্রামীণ পুলিশতাকে আক্রমণ চালায় বলে জানা গেছে। জনপ্রতিনিধিকে আক্রমণ করা এটা আমরা কিছুতেই সমর্থন করছি না।

অন্যদিকে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার হাবিবুর রহমান এর বাবা মোঃ কামাল উদ্দিন জানান প্রধান নিজের প্রভাব খাটিয়ে অন্যায় ভাবে আমার ছেলেদের মারধর করেছে। আমাদের একটি বালিবোঝাই লরি আসছিল। রাস্তা ছোট থাকায় সেই লরি সাইড দিতে পারেনি।তাই প্রধান সেই গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারকে মারধর করে। আমার ছেলেরা বাধা দিলে ছেলেদের মারধর করে। আমার ছেলেরা কোন প্রধান কে মারধর করে নি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ।

এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানিয়েছেন দুই পক্ষই অভিযোগ জমা করেছে। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।

কিন্তু এই ভাবে শাসক দলের প্রধানের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে,লরি সাইড নিয়েই ঝামেলা না অন্য কোনো কারণ এ আক্রমণ করা হল একে অপরকে তা নিয়ে তদন্ত চলছে, দুই পক্ষই একে ওপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!