অসুস্থ ধর্মরাজের পাশে দাঁড়ালো সভাধিপতি
0
0
মালদা: অসুস্থ ধর্মরাজের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলো সভাধিপতি। বেঙ্গালুরুতে পরিযায়ী শ্রমিক এর কাজ করতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনা তারপর লকডাউনে বেঙ্গালুরু থেকে মালদা প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ও বিভিন্ন গাড়ি চেঞ্জ করে বাড়ি ফিরে আস। পাঁচ মাস ধরে প্রায় বিনা চিকিৎসা গুরুতর অসুস্থ হয় ১৯ বছর বয়সী ধর্মরাজের ডান পায়ে ধরে পাচন।
আর এই খবর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের
সংবাদমাধ্যমে এই খবর সম্প্রচারিত হবার পর। মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মন্ডল ধর্মরাজের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত চিকিৎসা ও সাহায্যের হাত বাড়ালো।
বৃহস্পতিবার সকালে মালদা মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উৎসবটোলা গ্রামে ধর্মরাজের বড়িতে যায় মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল।
সঙ্গে ছিলেন মানিকচক ব্লক বিডিও জয় আমেদ, মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ হেন নারায়ন ঝা, মানিকচক থানার ওসি গৌতম চৌধুরী সহ প্রশাসনিক কর্তারা।
এদিন ধর্মরাজের শারীরিক চিকিৎসা করেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, পাশাপাশি সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মন্ডল চিকিৎসার ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত পুষ্টি দায়ক খাদ্য সামগ্রী, জামাকাপড়, শাড়ী, লুঙ্গি তুলে দেয় ধর্মরাজের মা জ্যোৎস্না দেবীর হাতে। পাশাপাশি সভাধিপতির পক্ষ থেকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করা হয়।
এই বিষয়ে গৌড় চন্দ্র মন্ডল জানাই সংবাদমাধ্যম বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে ধর্মরাজের শারীরিক অবস্থার কথা ব্যাপারে জানতে পারি। বেঙ্গালুরুতে পরিযায়ী শ্রমিক এর কাজ করতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনা যেখানে পাঁয়ে আঘাত লাগে। তারপর লকডাউনে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে আশার ফলে ধীরেধীরে তার ডান পাঁয়ে পাচন ধরে । এই খবর আমাদের কাছে আশার পর সরকারিভাবে আমরা সকলে পাশে দাঁড়িয়েছি। চিকিৎসা, শৌচাগার থেকে শুরু করে খাদ্য সামগ্রী সবকিছু সরকারিভাবে আমরা ব্যবস্থা করছি। আপাতত কিছু পুষ্টি দায়ক খাদ্য সামগ্রী, জামাকাপড় তুলে দেওয়া হল। খুব তাড়াতাড়ি ব্লক প্রশাসনের এর মাধ্যমে একটি শৌচাগার করে দেওয়া হবে ধর্মরাজের বাড়িতে ।
মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ হেম নারায়ন ঝা প্রতিনিয়ত ধর্মরজের চিকিৎসা করছে । দরকার পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ধর্মরাজ কে চিকিৎসার জন্য কলকাতা পাঠানো হবে। আপাতত বাড়িতে থেকে চিকিৎসা হবে। রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রেরণায় আমরাও সব সময় মানুষের পাশে থাকি ।
অন্যদিকে এই বিষয়ে ধর্মরাজ জানাই সহমর্মী ফাউন্ডেশন সদস্যরা আমার বাড়ি আসে আমার শারীরিক অবস্থার কথা শুনে। তারপরেই আজ সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল, বিডিও, ওসি, ডাক্তার সকলেই আমার বাড়ি আসে। আমার চিকিৎসার কথা জানায় এবং খাদ্য সামগ্রী জামাকাপড় তুলে দেয়। আমার খুব ভালো লাগছে গৌর বাবু আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। আমার বাড়িতে শৌচাগার নেয় তাই সভাধিপতি আমার বাড়িতে একটি শৌচাগার করার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি সভাধিপতি মহাশয় কে ধন্যবাদ জানাছি।
সাভাধিপতির এমন মানবিক রূপ দেখে ধন্যবাদ জানিয়েছে উৎসটোলা গ্রাম তথা মথুরাপুরের অসংখ্য মানুষ ।
