অক্সফোর্ডের তৈরি টিকার ট্রায়ালে স্নায়ুর রোগ দেখা গিয়েছিল এক স্বেচ্ছাসেবীর
নিউজ ডেস্ক (সুতীর্থা গাঙ্গুলী): ব্রিটিশ সুইডিশ ফার্ম অ্যাস্ট্রোজেনেকা কিছুদিন আগেই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু কী এমন কারণে হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা জানা যায়নি। এই বিষয়ে এবার মুখ খুললো অ্যাস্ট্রোজেনেকা সংস্থার কর্মকর্তারা।
অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি ডিএনএ ভেক্টর ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে এক মহিলা স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে স্পাইনাল ইনফ্ল্যামেশন অর্থাৎ তীব্র প্রদাহ তৈরি হয় স্নায়ুর কোষে। ট্রান্সভার্স মায়োলিটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছিল এই মহিলা, এমনটাই জানিয়েছে সংস্থার সিইও পাক্সাল সরিয়ট। অ্যাস্ট্রোজেনেকার মুখপাত্র ম্যাথিউ কেন্ট জানান, এখন সম্পূর্ণ সুস্থ সেই মহিলা, হাসপাতাল থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়াও হয়েছে।এই টিকার ট্রায়াল শুরু হয়েছিল এপ্রিল মাস থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের উপর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল পরীক্ষা করা হয়েছিল কিন্তু একজন মহিলার কেন এই রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেল সেই ব্যাপারটি খতিয়ে দেখবে সংস্থার গবেষকরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন এই ব্যাপার নিয়ে বেশি উদগ্রীব হতে বারণ করছেন। তার মতে, কোনো সমস্যা দেখা দেওয়া ভালো যাতে পরবর্তীকালে সাধারণ মানুষ করোনা প্রতিরোধী ঠিক ভ্যাকসিনটা পায়। তবে গবেষকদের আশ্বাস খুব তাড়াতাড়ি আবার ভ্যাকসিন ট্রায়ালের কাজ শুরু হবে।