চীন বিরোধী আমেরিকার সুরে সুর মেলাতে নারাজ ভারত
নিউজ ডেস্ক: মানবাধিকার লঙ্গন নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে চীনের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানানো আমেরিকার নেতৃত্বে ২৯ টি দেশ।কিন্তু ভারত তাতে যোগ দিলো না।আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়া জাপান এবং ভারতকে নিয়ে গঠিত কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়লগ এর বৈঠকের পর কোভিড এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার লংঘন নিয়ে চীনের নাম করে বিরোধিতা করল ওয়াশিংটন।কিন্তু সেই সুরে সুর মেলালো না নয়াদিল্লি।সংশ্লিষ্ট বিবৃতিতে চীনের নামো করলেন না ভারতের বিদেশ মন্ত্রী।
পূর্ব লাদাখে চীনের সঙ্গে যুযুধান ভারতের এমন নরম মনোভাব নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে কূটনৈতিক শিবিরে। উঠছে নানা প্রশ্ন এবং বিতর্ক। অনেকেই বলছে একাধিক কারণ বিবেচনা করেই আমেরিকার চীন বিরোধিতার অংশ হতে চাইছে না ভারত।প্রথমত সামনেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এরপর সে দেশের চিন নীতি কি হবে,তাতে কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।তাই আগে থেকেই আমেরিকার সুরে সুর মেলাতে চাইছেনা দিল্লি। দ্বিতীয়ত চীনের সঙ্গে দীর্ঘদিন আলোচনার প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমেই শান্তি স্থাপনের চেষ্টা চলছে। বহু দূরের তৃতীয় একটি দেশের স্বার্থের সঙ্গে নিজেদের জুড়তে গিয়ে এই প্রক্রিয়াটি ভেস্তে দেওয়া কাম্য নয় বলেই মনে করছে বিদেশমন্ত্রক। তৃতীয়ত রাশিয়ার সঙ্গে আগের মতো না হলেও একটা সামরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে মোদি সরকার।রাশিয়া পিছনে থেকে ভারত এবং চীনের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে।ফলে এই সময় যদি আমেরিকাপন্থী মনোভাব পোষণ করা হয় তাহলে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
গত কয়েক মাস ভারতীয় ভূখণ্ডে লালফৌজ বসে থাকার পরেও দিল্লি কেন চরম আক্রমণাত্মক হচ্ছেনা এই প্রশ্ন বারবার করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।কংগ্রেসের অভিযোগ চিনকে চটানোর মতো ক্ষমতা মোদির নেই। তাই অন্যদেশ সরাসরি চীনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেও ভারত তা পারছেনা।