মানবদেহে অ্যান্টিবডি বেঁচে থাকে পাঁচ থেকে সাত মাস
নিউজ ডেস্ক: একবার করোনা সংক্রমিত হলে শরীরে যে ইমিউনিটি তৈরি হয় তা অন্তত পাঁচ মাস স্থায়ী হয়। সম্প্রতি গবেষকদের একাংশ এই দাবি জানিয়েছেন। এই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বাঙালি মার্কিন গবেষক দীপ্ত ভট্টাচার্য।
এই বিজ্ঞানী দলটি মোট ৬ হাজার করোনা আক্রান্ত কে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন।প্রফেসর দীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন আমরা দেখেছি পাঁচ থেকে সাত মাস পরেও শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি রয়েছে।তার কথায় অনেকেই চিন্তিত করোনা সংক্রমিত হওয়ার পর বেশিদিন ভাইরাসটিকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকছে না।আমরা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই গবেষণা শুরু করেছিলাম। রিপোর্টে যা পেয়েছি তাতে অন্তত পাঁচ মাস ইমিউনিটি থাকছে মানবদেহে। আজকের” ইমিউনিটি “জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা পত্রটি।
বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরাও। যখন ভাইরাস সংক্রমণ ঘটায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দ্রুত যুদ্ধ শুরু করার জন্য ক্ষণস্থায়ী প্লাজমা কে অ্যান্টিবডি তৈরির দায়িত্ব দেয়। সংক্রমনের ১৪ দিন পরেই রক্তে এই অ্যান্টি বডির উপস্থিতি পাওয়া যায়। দ্বিতীয় ধাপে দীর্ঘস্থায়ী প্লাজমা কোষের উচ্চ মানের অ্যান্টিবডি তৈরি করে তাতে দীর্ঘমেয়াদি ইমিউনিটি তৈরি হয়। বেশ কয়েক মাস ধরে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন গবেষক দীপ্ত ভট্টাচার্য। তাদের বিশ্বাস পাঁচ থেকে সাত মাস অ্যান্টিবডি ভালোভাবে শরীরে থেকে যায়।আগে অবশ্য বেশ কিছু গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল আক্রান্তের শরীরে সাময়িকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু দ্রুতই অ্যান্টিবডির মাত্রা কমে যাচ্ছে শরীর থেকে। গবেষক দীপ্ত ভট্টাচার্যের বক্তব্য অনুযায়ী সেইসব গবেষণায় ক্ষণস্থায়ী প্লাজমা কোষগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছিল,দীর্ঘস্থায়ী প্লাজমা কোষগুলোর ওপর আলাদা করে নজর দেওয়া হয়নি।