প্রজাতন্ত্র দিবস ও দেশবাসীর প্রাপ্তি
নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবস গোটা ভারতের কাছে এক উল্লেখযোগ্য দিন। এই দিন সরকারি পক্ষ থেকেও কিছু অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, পুরস্কার বিতরণ , বীটিং রিট্রীট অনুষ্ঠান।
প্রজাতন্ত্র দিবসের সন্ধ্যায়, ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিবছর ভারতের নাগরিকদের যোগ্যতা সম্পন্ন নাগরিকদের পদ্ম ভূষণ পুরষ্কার দিয়ে থাকেন। ভারত রত্নের পর এটাই ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সিভিলিয়ান অ্যাওয়ার্ড হিসেবে পরিচিত। এই পুরষ্কার তিনটি বিভাগে দেওয়া হয়। পদ্ম বিভূষণ, পদ্ম ভূষণ এবং পদ্মশ্রী নামে।
পদ্ম বিভূষণ – এই পুরস্কারটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সিভিলিয়ান অ্যাওয়ার্ড হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
পদ্ম ভূষণ – এই পুরস্কারটি ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ সিভিলিয়ান পুরস্কার হিসেবে পরিচিত।
পদ্ম শ্রী- এটি ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ সিভিলিয়ান অ্যাওয়ার্ড হিসেবে পরিচিত।এই পুরস্কার সমূহ , দেশবাসীর কাছে এক জাতীয় সম্মান। যা লাভ দেশবাসীর কাছে এক বিরাট প্রাপ্তি।
ওদিকে বীটিং রিট্রীট অনুষ্ঠানটি সংঘঠিত হয় সাধারণতন্ত্র দিবসের ৩ দিন পর, অর্থাৎ ২৯শে জানুয়ারি সন্ধ্যেবেলায়। ভারতের সামরিক বাহিনীর তিন প্রধান শাখা যথাক্রমে ভারতীয় স্থলসেনা, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনা এই রিট্রীটে অংশ গ্রহণ করে। যা সম্পন্ন হয়, রাজপথের প্রান্তে ভারতের কেন্দ্রীয় সচিবালয় ও রাষ্ট্রপতি ভবনের নর্থ ব্লক ও সাউথ ব্লক ভবন দু’টির মধ্যবর্তী রাইসিনা হিল ও বিজয় চকে।
এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, যিনি অশ্বারোহী পিবিজি কর্তৃক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। এদিন রাষ্ট্রপতি উপস্থিত হয়ে পিবিজির অধিনায়ক হিসেবে তার বাহিনীকে জাতীয় অভিবাদনের অর্থাৎ স্যালুটের নির্দেশ দেন। এর পর সামরিক বাহিনী কর্তৃক দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। এই সঙ্গীতের পাশাপাশি সম্মিলিত স্থল, জল ও বায়ুসেনার বিভিন্ন ব্যান্ড, পাইপ, ভেরী জাতীয় বাদ্যযন্ত্রের কুশলীরা অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে সারে জাঁহা সে আচ্ছার মত দেশাত্মবোধক গানের আয়োজনও করেন।