ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শহর কলকাতায় পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি মঞ্চে ওঠেন জয়হিন্দ বার্তা দিয়ে শুরু করে। এরপর মঞ্চে উপস্থিত রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয় এবং ভারতের গৌরব আজাদ হিন্দ বাহিনীর সদস্যের পরিবার এবং বাংলার ভাই-বোনেদের স্বাগত জানিয়েছেন। এবং নেতাজির চরণে প্রণাম করে তিনি তার ভাষণ শুরু করেছিলেন। ভাষণের শুরুতেই তিনি নেতাজীকে প্রণাম জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে আমি তাকে প্রণাম জানাচ্ছি যিনি নেতাজির মত মহান ব্যক্তিকে জন্ম দিয়েছেন। এখানে আসার আগে আমি ন্যাশনাল লাইব্রেরী গেছিলাম, সেখানে আমি বুঝলাম নেতাজির নাম শুনতে যে কেউ গর্বে ভরে ওঠে। নেতাজির জীবনের গৌরব তার সঙ্গে জুড়ে যায়। তার আদর্শ তার প্রেরণা তার তপস্যা দেশের প্রতিটি যুবকের মধ্যে রয়েছে। আজ যুবসমাজ ভারতে নেতাজি প্রেরণায় এগিয়ে চলেছে। আমাদের কর্তব্য তা এই রীতিকে বারবার সকলের মনে রাখা। হাওড়া কালকা মেলের নাম পরিবর্তিত হয়ে করে দেওয়া হয়েছে নেতাজি এক্সপ্রেস। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রতি বছর ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনের দিন পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করা হবে। আত্মনির্ভর সঙ্গে হচ্ছে নেতাজির প্রতিটি পদক্ষেপ আমাদের কাছে প্রেরণা। ওনার মত একজন ব্যক্তিত্বের কাছে অসম্ভব কিছুই ছিলনা। যে নিজের দেশের বাইরে ভারতীয়দের মনে এক আলাদা এই চেতনা জাগিয়েছিলেন। আজাদ ধীন ফৌজ এর শক্তি মজবুত করেছিলেন তিনি। নেতাজী বলেছিলেন, ভারত ডাকছে রক্ত, ডাক দিয়েছে রক্তকে, উঠে দাঁড়াও, আমাদের নষ্ট করার মত একটা সময় নেই। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সভা মঞ্চ থেকে আরও জানিয়েছেন যে, নেতাজি আত্মনির্ভর ভারতের পাশাপাশি সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক বানানো হচ্ছে দেশে। বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে। নতুন করে নতুন শিক্ষানীতি আসতে চলেছে দেশে। দেশের কৃষকদের আধুনিক সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে। আজ প্রতিটি গরিবের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা মিলছে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু অশিক্ষিত ও দরিদ্রকে সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে মনে করতেন। দেশের সামাজিক ভাবনা দিয়েই এই সমাধান সম্ভব হবে।