মায়ানমারে আটক সু চি ও তার দল
নিউজ ডেস্ক: আগামী সোমবারই নয়া নির্বাচিত সরকারের প্রথম পার্লামেন্ট অধিবেশনে বসার কথা ছিল।তারই মধ্যে হঠাৎই মায়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে। নির্বাচিত সু চি এবং তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)-র বিরুদ্ধে ভোটে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়। এবং সংবিধান রক্ষার দাবিতে গ্রেফতার করা হয় নেত্রী-সহ অনেককেই।
তাঁর দলের সদস্য সূত্রে খবর, নেত্রী তাঁর বাসভবনেই গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। সু চি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ২ বছর জেল হতে পারে। ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’-র মুখপাত্র কি টো তাঁর ফেসবুক পেজেভেই বিষয়টি জানিয়েছেন। নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছে সু চি-র দল। ভয়াবহ ভাবে হারে সেনার সমর্থনপ্রাপ্ত দল। তার পর থেকেই সেনা অভ্যুত্থানের ছক কষছিল বাহিনী।
এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনো রকম বক্তব্য রাখেনি পুলিশ ও আদালত। তবে শোনা যাচ্ছে, নতুন করে নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে সেনা বাহিনী।
গণতন্ত্রের দাবি তোলার অপরাধে বছরের পর বছর গৃহবন্দি থাকতে হয়েছিল সু চি-কে। বন্দিদশায় সেনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। গণতন্ত্রের দাবিতে তাঁর লড়াই সু চি-কে নোবেল সম্মান এনে দিয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে তাদের সমর্থনে ইয়াঙ্গনের পথে নামেন হাজার হাজার মানুষ। গাড়ির হর্ন বাজিয়ে, থালা-বাসন বাজিয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। সেনার সমর্থনেও মিছিল হয়েছে ওই রাতে। সেখানেও কম লোক হয়নি, কমপক্ষে তিন হাজার।