অসুর শেষ করবে মা দুর্গা
নিউজ ডেস্ক: কুলপির জনসভা থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে নেতারা বাংলায় বর্তমানে ক্যাম্প করছেন। তারা বলছে যে ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা ইঞ্জিনের মোকাবেলা করতেই বর্তমানে অনেক ইঞ্জিন এর প্রয়োজন হয়। বিরোধী দলের বক্তব্য রাজ্য কেন্দ্রে এক সরকার থাকবে। মোদির হাতে তুলে দিতে হবে গোটা বাংলাকে। বাংলা কি জয়নগরের মোয়া? আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে তুলে দিয়ে দেখাও! এই সরকারের দরকার কেন ধরা পড়বেন না!
এদিন জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, নেতাজির জন্ম জয়ন্তীতে একজন বাঙালি মুখ্যমন্ত্রী কে অপমান করা হয়েছে। এই লড়াইটা বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতাদের বাংলায় ঢুকতে দেবনা। মে মাসে সবকটাকে প্যাক করে গুজরাট উত্তরপ্রদেশে পাঠিয়ে দেবে বাংলার মানুষ। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। ফ্রিতে চিকিৎসা, শিক্ষা একটাও রাজ্য নেই। আমাদের দেশে কোনও রাজ্য নেই যেখানে খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ফ্রীতে দেওয়া হয়। আগে সোনার গুজরাট গড়ে দেখাক। তার পরে নয়, বাংলাকে নিয়ে ভাবা যাবে।
এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন, বাংলার সংস্কৃতি জানে না, অথচ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলছে বিবেকানন্দ ঠাকুর। দিলীপ ঘোষ বলছে সহজপাঠ লিখেছেন বিদ্যাসাগর। সি এ এ নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলছে টিকাকরণের পর সি এ এ চালু হবে। বড়জোর তিন মাসের রুল তৈরি হয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সি এ এ চালু হয়। টিকাকরণ শেষ হতে তো দশ বছর লাগবে। মতুয়ারা নাগরিক না হলে ভোটাধিকার আছে কি করে? বুকের পাটা থাকলে চীনের সীমান্তে যাক না! এখানে বসে অনেক কথা বলা যায়। বিরোধী দল বলছে ২০০ পার করবে বিধানসভা ভোটে। আগের দুই সংখ্যা পার করুক। সিপিএমের ২২ শতাংশ ভোট নিয়ে ১৮ জন সাংসদ হয়েছে। কাউকে আম্ফানে দেখা গেছে কি?
এইদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরো জানিয়েছেন, ৯০ লক্ষ পড়ুয়াকে বর্তমান সরকার ট্যাব দিয়েছেন। তারা কি কেউ ভোট দেবেন? কেন দেবে? তাদের ভোট দেওয়ার বর্তমানে দরকার নেই। কারণ তাদের ভবিষ্যৎ বর্তমানের সুনিশ্চিত করতে হবে। বাপের ব্যাটা হলে ভোট শেষ হওয়ার আগে তোমাদের দিয়ে জয় সিয়ারাম বলিয়ে ছাড়বো। মহিলাদের যোগ্য সন্মান দিতে হবে। এখানে ছোট মহিলা জন্মালে মা বলে ডাকি। এরা মেয়েদের অসম্মান করছে। মহিলাদের অসম্মান মানে মা দুর্গা কে অসম্মান করা। দুর্গাকে কে জানে, কে চেনে। দুর্গা মা যেদিন রাগ দেখাবে, সেদিন অসুরের দলে হাজার হাজার লোক মরবে।
এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন, পদ নয়, পতাকা নেত্রীর নাম মমতা। বাংলার জনতা একুশের ভোটে নবান্নে আবারো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেখতে চায়। দিদি জিতছে, বাংলা জিতছে, এই মাটি জিতবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা আবার জিতবে।