ভ্যাকসিন নেওয়ার মানেই যে মাস্ক পড়তে হবে না, তার কোনো মানে নেই
0
0
নিউজ ডেস্ক: গত বারের থেকে ১৮ শতাংশ বেড়েছে চলতি বছরের করোনা সংক্রমন। তাই তরী ডোবার দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আজ বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি রাজ্যের মানুষকে বোঝাতে হবে। করোনার লড়াইয়ে আমরা যেখানে পৌঁছেছি। আর তাতে যে আত্মবিশ্বাস জোগাড় করেছি। তার যেন অপব্যবহার না করা হয়। যেন ‘ওভার কনফিডেন্স’ না আসে জনতার মধ্যে। সমস্যা ঠিক কোথায় হচ্ছে? তা খুঁজে বের করে সমাধান করতে হবে। সমস্যা থেকে জনতাকে মুক্ত করতে হবে।
এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন করোনা টেস্ট কম হচ্ছে, কেন পর্যাপ্ত টিকাকরণের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। সেদিকে নজর দিন। RTPCR টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। টিয়ার ২ ও টিয়ার ৩ শহরে সংক্রমণের হারের দিকে নজর দিতে হবে। গত বছর পরিবহণ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে রক্ষা পেয়েছিল গ্রামগুলি। কিন্তু এখন পরিবহণ চালু রয়েছে। সেক্ষেত্রে শহরতলি ও গ্রাম গুলিতে করোনা পরীক্ষা ও টিকাকরণে জোর দিতে হবে। মনে রাখবেন টিয়ার ৩ -য়ে করোনা দাপট দেখাতে শুরু করলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।
আজকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, নিজের রাজ্যে করোনা মিউটেন্ট করে কোন পথে এগোচ্ছে সে বিষয়ে পর্যালোচনা করতে হবে। তার জন্য জিনোম টেস্টে জোর দিতে হবে। ১ বছর পর শক্তিশালী অস্ত্র রয়েছে। তাই সেই অস্ত্র এখন নষ্ট করা যাবে না। বহু রাজ্যে যেমন কেরল, উত্তরপ্রদেশে ভ্যাকসিন নষ্ট হচ্ছে। সেদিকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে রাজ্যকে। এক্সপেয়ারি ডেট সম্পর্কে অবগত হতে হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের। যে সমস্ত ভ্যাকসিনের এক্সপেয়ারি ডেট আগে, সেই ভ্যাকসিনগুলি আগে দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। মাস্ক পরায় অনীহা দেখা যাচ্ছে দেশ জুড়ে। সতর্ক করুন রাজ্যের মানুষকে। মিশন নিয়ে কাজ করুন। সফলতা পাবেন।
