অতিরিক্ত জামায়াতের কারণেই দেশে আবারও সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে
নিউজ ডেস্ক: দেশে লকডাউনের পর আনলক পর্ব শুরু হওয়ার থেকে সাধারণ মানুষ যেন সাপের পাঁচ পা দেখেছে। আবারও যেন রাস্তায় বহু মানুষের জমায়েত দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে বিয়ে বাড়ি অনুষ্ঠান গুলিতে। এই বিষয়ে নীতি আয়োগ এর সদস্য ড: ভি.কে পল জানিয়েছেন, বহু মানুষের জমায়েত যেখানে করোনা সেখানে ছড়িয়ে পড়ছে। বিয়ে বাড়ি, অনুষ্ঠান বাড়িগুলি করোনা আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে। দেশে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা। যা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এবার দেশে দ্বিতীয়বার লকডাউন চালু করা হবে কিনা সে নিয়ে কেন্দ্রে চলছে দফায় দফায় আলোচনা। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশের বেশ কিছু জেলায় আংশিকভাবে লকডাউন এবং নাইট কারফিউ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে ডঃ ভি.কে পল জানিয়েছেন, বেশিরভাগ করোনা বিধি মানা হচ্ছে না। মুখে মাস্ক নেই। পারস্পরিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না রাস্তাঘাটে। দোকান বাজার এবং গণপরিবহনের ক্ষেত্রেও এত মানুষের ভিড় থেকেই সংক্রমণ অন্য মানুষের শরীরে ছড়িয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো দাবি করেছেন যে, লকডাউনের সময় বিয়ে বাড়ি বা যে কোন অনুষ্ঠান বাড়িতে ৫০ জনের বেশি অতিথি সমাগমে অনুমতি ছিল না। শেষকৃত্য একই নিয়ম চালু হয়েছিল। কিন্তু দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসার পরেই সেইসব শিকে উঠেছে। নাইট পার্টি, বিয়ে বাড়ি থেকে সমস্ত রকম অনুষ্ঠানের জমায়েত করছে সাধারণ মানুষ। যার ফলে ক্রমাগত সংক্রমনের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। পাঞ্জাবে অন্তত ৩০ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে এই অনুষ্ঠান বাড়ির গুলির থেকেই। তিনি আরো জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের সব ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ করোনা রোগী উপসর্গহীন।