প্রকাশিত হল বিজেপির ইস্তেহার

0 0
Read Time:10 Minute, 16 Second

নিউজ ডেস্ক: আজ বিজেপির ইশতেহার প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সংকল্পপত্র’ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ঘোষণাপত্র বা সংকল্পপত্রকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি সংকল্পপত্র মেনে চলে। সকলের ইশতাহারপত্রের তুলনামূলক পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। তাই ঘোষণাপত্র নয়। সংকল্পপত্র এটা। এটা শুধু ঘোষণা নয়, সংকল্প। এটা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় দলের সংকল্প। এটা ১৬টির বেশি রাজ্যে সরকারে থাকা দলের সংকল্প। ৭৩ বছর পর বাংলা অনেকখানি পিছিয়ে গিয়েছে। একটা সময়ে বাংলার ৩০ শতাংশ উৎপাদন হত বাংলায়। তা কমতে কমতে ৩ শতাংশে নেমেছে। তার কারণ কুশাসন। মহিলাদের জন্যে অসুরক্ষিত রাজ্যগুলির মধ্যে একটি বাংলা। কর্মসংস্থান নেই। যুবকরা নিরাশ। তৃণমূলের কুশাসন কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছে। নিরাশা ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। তোষণের রাজনীতিকে চরম সীমায় নিয়ে গিয়েছেন। বাংলার উৎসবগুলিকে ভোট-রাজনীতির সঙ্গে জুড়েছে। এছাড়াও, সোনার বাংলা ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করলেন অমিত শাহ।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনে রাজনীতিকরণ হয়েছে। দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক হয়েছে। অনুপ্রবেশ অবাধ হচ্ছে। নাগরিকত্বে বাধা দিচ্ছেন। বাংলা শিক্ষক চাইলে খুন হতে হয়। পঞ্চায়েতে ভোট দিতে দেননি। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেননি। আসল পরিবর্তনের লক্ষ্যে আমাদের সংকল্পপত্র। ২০১৬ সাল থেকে কাজ করছেন আমাদের কর্মীরা। বাংলার মানুষ আমাদের সমর্থন দিয়েছেন। নৈতিক দায়িত্ব, বাংলার জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙক্ষাকে পূরণ করি। আমি ব্যবসায়ী। ভরসা রাখুন। বাংলার বাজেটে ১৫ শতাংশ বেশি বরাদ্দ ধরা হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে ৩৩ শতাংশ মহিলাদের সংরক্ষণ।

৭৫ লক্ষ কৃষককে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাঙ্কাউন্টে। তার সঙ্গে রাজ্য সরকার ৪ হাজার যোগ করে ১০ হাজার দেবে কৃষকদের।

মৎস্যজীবীদের ৬ হাজার টাকা বছরে।

প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে আয়ুষ্মান ভারত যোজনাকে ছাড়পত্র।

অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তকে সুরক্ষিত করবে। সীমান্তে পরিখা। সিসিটিভি। বর্জার চেকপোস্ট।

গোটা দেশে সকল ধর্মের উৎসব। দুর্গাপুজো ও সরস্বতী পুজোর জন্য আদালতে যেতে হবে না কাউকে।

৭০ বছর ধরে যে শরণার্থীরা এখানে আছেন। তাঁদের নাগরিকত্ব।

শরণার্থী পরিবারকে ৫ বছর ধরে ১০ হাজার টাকা।

ওবিসি সংরক্ষণে মাহিষ্য, তিলিদের আনা হবে।

সকল মহিলাদের জন্য কেজি থেকে পিজি বিনা পয়সায় পড়াশুনো।

সাধারণ পরিবহণে মহিলাদের টিকিট লাগবে না।

ভূমিহীন কৃষকদের ৪ হাজার টাকা সাহায্য।

৩টি এইমস।

পরিবারের এক সদস্যকে রোজগার দেওয়া হবে।

সরকার আসার পরে সপ্তম বেতন কমিশন।

শৌচালয় ও পানীয় জল।

নোবেল প্রাইজের মতো টেগোর প্রাইজ। অস্কারের মতো সত্যজিৎ রায় পুরস্কার দিয়ে বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরব।

আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য।
ষষ্ঠশ্রেণিতে ৩ হাজার।

বিধবা পেনশনকে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার।

মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে।

ভূমিহীন কৃষকদের ছেলেমেয়েদের গ্র্যাজুয়েশন পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়াশুনো।

৫ হাজার কোটি টাকার ফান্ড। যাতে ফসল কিনতে পারে সরকার।

কৃষক সুরক্ষা পরিকাঠামো ফান্ড।

মৎস্যজীবী ও কৃষকদের ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা।
কৃষক সুরক্ষা এমএসপি টাস্ক ফোর্স। ৫ হাজার কোটি টাকার ফান্ডের ফিডব্যাক দেবে।

নৌকার ১০০ শতাংশ যন্ত্রীকরণ।

আমূলের সঙ্গে বড় বড় কোল্ডস্টোরেজ। ও ৫টি মেগা দুগ্ধপ্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র।

২০২৫ পর্যন্ত নার্সিং ও মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েট আসনগুলি দ্বিগুণ করার পরিকাঠামো তৈরি করব।

১০ হাজার স্টার্টআপকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি।
২০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড। স্কুলগুলির পরিকাঠামোয় খরচ।

সাঁওতালি, নেপালি, রাজবংশী ভাষাকে উৎসাহ।
কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট।

আমফান, বুলবুল ও আয়লায় এসটিএফ গঠন।

কয়লা, বালি মাফিয়াদের জন্য আলাদা টাস্কফোর্স।

মাদক, বেআইনি অস্ত্র কারবার, গো পাচার রুখতে ব্যবস্থা।

রাজনৈতিক হিংসার তদন্ত এসআইটি গঠন। সাহায্যের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা দেব।
নারায়ণী সেনা ব্যাটলিয়ন।

বাংলার জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, নিরপেক্ষ ভোট সুনিশ্চিত করব। রাজনৈতিক হিংসা অতীত হয়ে যাবে।

ব্যবসায় বিনিয়োগ বাড়াতে জোর।

১০ লক্ষ টাকা জামিনদার ছাড়া ছোট ও ক্ষুদ্রশিল্পকে ঋণ।

পাটশিল্পের আধুনিকীকরণ।
চামড়া, ইঞ্জিনিয়ারিং, অটো ও জুয়েলারি পার্কের জন্য পরিকাঠামো।

সিঙ্গল উইন্ডো ক্লিয়ারিং সিস্টেম। সিঙ্গল উইন্ডো মানে ভাইপো নয়। অফিসার চালাবেন।

পরিকাঠামো ক্ষেত্রে একাধিক পদক্ষেপ করব। গ্রামীণ উন্নয়নে ২ হাজার কোটি টাকার তহবিল। ৬৭৫ কিলোমিটার কলকাতা ও শিলিগুড়ি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ। ১ লক্ষ কোটি সড়ক। মালদহ ও বালুরঘাট বিমানবন্দরকে সচল।

পুরুলিয়ায় বিমানবন্দর নির্মাণ। ২৪ ঘণ্টা স্বচ্ছ জল সুনিশ্চিত করব।

বাস টার্মিলানের জন্য ৪৬০০ কোটি।

বন্দরের আধুনিকীকরণ।
বাংলার সংস্কৃতিকে উৎসাহ দিতে গুরুদেব সেন্টার ফর কালচারাল সেন্টার।

রাজ্যে পুরোহিত কল্যাণ বোর্ড। পুরোহিতদের ভাতা।

৬০ বছর পেরোলে কীর্তনিয়াদের ভাতা।

মন্দিরের আধুনিকীকরণে ১০০ কোটি টাকা।

রাষ্ট্রসঙ্ঘে বাংলাভাষাকে আধিকারিক ভাষা করার চেষ্টা।

মহানায়ক উত্তমকুমার ফিল্ম সিটি।

কলকাতায় একটি আন্তর্জাতিক সোনার বাংলা সংগ্রহশালা।

নেতাজির জন্মদিন উদযাপনে কমিটি।

শান্তিনিকেতনকে ভারতে সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন কেন্দ্র হিসেবে ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ।

কলকাতার দুর্গাপুজো আন্তর্জাতিক মানচিত্রে আনা হবে। দুনিয়া বিভিন্নপ্রান্ত থেকে লোকে আসবে।

হুগলির পারে ঘাট নির্মাণ। দৈনিক আরতি।

দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা আবশ্যক।

বাংলা মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারিতে পড়াশুনো।

বিশেষ ছাত্রবৃত্তি।

সকল বিদ্যালয়ে সুভাষচন্দ্র বসু, রাসবিহারী, রবীন্দ্র ঠাকুরের নামে চেয়ার।

কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম উৎসব। টলিউড ফিল্ম
নির্মাতাদের সহায়তা।

নতুন পর্যটন নীতি। ১ হাজার কোটি টাকার প্রাথমিক ফান্ড।
রাজ্যে ৯টি আলাদা আলাদা ট্যুরিস্ট সার্কিট।

অন্নপূর্ণা ক্যান্টিন। ৫ টাকায় তিন বার খাবার।

পিডিএসে ৫ টাকায় চিনি। কোনও চুরি হবে না। কাটমানি হবে না।

এসসি, এসটি সার্টিফিকেট ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে দেওয়া হবে।

সাঁওতাল, ওঁরাও, মুন্ডা আদিবাসীদের জন্য ডেভেলপমেন্ট বোর্ড।

উত্তরবঙ্গ ডেভেলপমেন্ট। চা বাগানের শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়ে প্রতিদিন ৩৫০ টাকা।

মতুয়া দলপতিদের মাসে ৩ হাজার টাকা পেনশন।

আদিবাসীদের জন্য প্রতিটি তহসিলে একলব্য মডেল রেসিন্ডেন্সিয়াল স্কুল।

২২ হাজার কোটি টাকায় কলকাতার উন্নয়ন।

শহরের পার্কিংয়ের জন্য মাল্টিস্টোরেজ পার্কিং।
কালীঘাটে আদিগঙ্গা নদীকে পুনর্জীবন।

বরানগর, হাওড়ায় নমামি গঙ্গায় জোর।

বন্যা নিয়ন্ত্রণে মাস্টারপ্ল্যান।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!