সুন্দরবনের আদিবাসী মহিলাদের পাশে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
নিউজ ডেস্ক: বসিরহাট মহাকুমার হাড়োয়া ব্লক এর সোনাপুকুর শংকরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শংকরপুর গ্রামে অবস্থিত গোড়াই নগর অগ্নিবীণা সংঘ এটি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বছরভোর মানুষের সেবায় এগিয়ে চলেছে মানুষের বিপদে-আপদে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে আজও তার ব্যতিক্রম হল না।
রাজনৈতিক নেতারা যখন জনপ্রতিনিধি হয়ে যায় ভোটে জেতার পরে তাদের আর পাওয়া যায় না, ঠিক মহামারীর সময় এগিয়ে এলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। গোড়াই নগর অগ্নিবীণা সংঘ, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা হাড়োয়া ব্লক এর গোপালপুর শংকরপুর সহ বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে করোনা বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়, বিশেষভাবে সুন্দরবনের আদিবাসী সম্প্রদায় ঘরের মহিলাদেরকে, তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় মাস্ক এবং স্যানিটাইজার, পাশাপাশি তাদেরকে সচেতন করা হয় তারা যেন বাড়িতে গিয়ে ছেলেদের বা পরিবারের সদস্যদের বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে পারে সে বিষয়ে বিশেষ ক্যাম্প করা হয়।
একদিকে যখন করোনার জেরে মানুষ কাজ হারিয়ে একপ্রকার দিশেহারা হয়ে গেছে, তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তর এর ব্যবস্থাপনায় এবং গৌরীনগর অগ্নিবীণা সংঘের পরিচালনায় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে চলে বিশেষ টেলারিং প্রশিক্ষণ, করণা প্রটোকল মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধাপে ধাপে ৩০ জন করে মহিলা ৬ মাস তাদেরকে ট্রেনিং দেওয়া হবে এখান থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে কারিগর হিসেবে গড়ে তোলা হবে,তার পাশাপাশি তারা যেন প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়িতে গিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন এবং পরিবারের জন্য কিছু করতে পারেন তার জন্য দেয়া হবে বিশেষ লোন,
প্রশিক্ষণ চলাকালীন মজুরি হিসেবে মাসে ৫০০, করে টাকা দেয়া হবে তাদের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে।
গোড়াই নগর অগ্নিবীণা সংঘের কর্ণধার নাসির হোসেন বলেন, আগামী দিন এভাবেই তারা সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবেন, আগামী দিনে আরো বেশি বেশি করে এ ধরনের প্রশিক্ষণ যাতে করা যায় সে বিষয়েও তিনি নজর দেবেন বলে জানিয়েছেন।
এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ট্রেনিং প্রাপ্ত প্রিয়াঙ্কা সর্দার বলেন, আমাদের খেটে খাওয়া মানুষগুলো যারা আমাদের মুখে দুবেলা দু’মুঠো অন্ন তুলে দিতো, তারা এই লকডাউন এবং করোনাকালে কাজ হারিয়ে ঘরে বসে আছে, আমাদের সংসার চালাতে ও সন্তানদের মানুষ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, ঠিক সেই সময় রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে ও গড়াইনগরে অগ্নিবীণা সংঘের ব্যবস্থাপনায় এইযে ট্রেনিং সেন্টার করা হয়েছে তাতে করে আমরা ভীষণ উপকৃত হচ্ছি, নিজেরা এই ক্যানিং সেন্টার থেকে কাছ শিখে রোজগার করে স্বামীর পাশে দাঁড়াতে পারছি, তাতে করে আমারা ভীষণ উপকৃত হয়েছি, আর যারা বাড়ি বসে আছেন তারা এখান থেকে ট্রেনিং নিয়ে নিজে স্বাবলম্বী হোন।