দত্তপুকুরের ঘটনা ‘অ্যালার্মিং’
নিউজ ডেস্ক::দত্তপুকুরের বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি পুলিশের একাংশ বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত আছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। আর এহেন ক্ষোভ প্রকাশের পরেই নড়েচড়ে বসল পুলিশ প্রশাসন।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার এবং কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি ( আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম। ভার্চুয়ালি এই বৈঠক হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে এই বৈঠক চলে। যেখানে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। শুধু তাই নয়, দত্তপুকুরের ঘটনা কার্যত ‘অ্যালার্মিং’ বলেও চিহ্নিত করেছেন জাভেদ শামিম।
শুধু তাই নয়, এই বৈঠক থেকে পুলিশ আধিকারিকদের সতর্কও করে দেওয়া হয়েছে। কোনও ভাবেই ঘনবসতি পূর্ণ এলাকায় বেআইনি বাজি কারাখানা চলবে না। এই বিষয়ে নজরদারি চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে।
এমনকি আগামিদিনে দত্তপুকুরের মতো ঘটনা না ঘটে সেজন্যেও বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার এবং কমিশনারদের কড়া নির্দেশ এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, দত্তপুকুরের ঘটনার চরম ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার পরেই তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে ডেকে পাঠা তিনি। এমনকি মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকেও ক্ষোভ উগরে দেন প্রশাসনিক প্রধান।
দত্তপুকুরের পুলিশ ও আইসিরা কি ঘুমোচ্ছিলেন, সেই প্রশ্নও নাকি বৈঠক করেন করেন তিনি। এগরার ঘটনার পরেও কেন গাইডলাইন কার্যকর করা হল না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। শুধু তাই নয়, সোমবার ছাত্র সমাবেশ থেকেও দত্তপুকুরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি ক্ষিওভ উগরে দেন। পুলিশের কেউ কেউ বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত বলেও মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবার উপর কড়া নজরদারি চলছে বলেও মন্তব্য করেন।
আর এই প্রেক্ষাপটে পুলিশের এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই বৈঠকের পরেই বেআইনি বাজি উদ্ধার করতে অভিযানে নামে পুলিশ। গোটা রাত ধরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলে। প্রচুর বেআইনি বাকি উদ্ধার হয়েছে বলেই খবর। এদিকে দত্তপুকুরের ঘটনায় এনআইএ’য়ের দাবিতে ইতিমধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা।