সরকারি বাংলো দখল করে রয়েছেন বিজেপি নেতা
নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরে তৃণমূল বনাম বিজেপি রাজনৈতিক টানাপোড়েন! দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরীর বাংলো দখলমুক্ত করতে উদ্ধত রাজ্য প্রশাসন।
রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান তথা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক হিসেবে কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী দায়িত্ব পাওয়ার পর দুর্গাপুরের অ্যান্ড্রুজ প্লেস এ-২/২ বাংলোটি তার নামে বরাদ্দ করা হয় বলে সূত্রের খবর।
বিধানসভা ভোটের আগে কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী দলবদল করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করে এবং দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটে তার নিকটস্থ প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রদীপ মজুমদার এর কাছে ৩৭৪৬ ভোটে পরাজিত হন।
এরপর সোমবার সন্ধ্যে নাগাদ আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ এবং দুর্গাপুর মহকুমা দপ্তরের আধিকারিকরা দুর্গাপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরীর বাংলোয় উপস্থিত হন।
সূত্রে খবর, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার পূর্ত দপ্তরের কাছ থেকে রাজ্য সরকার লিজ বাবদ মোটা অংকের টাকা দিয়ে ওই বাংলোটি নিয়েছিল। যা বর্তমানে পশ্চিম বর্ধমান জেলা শাসক (ডিএম) এর নামে বরাদ্দ আছে। এমতো অবস্থায় বিজেপি নেতা কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী-র দখল করা! রাজ্য সরকারের অধীনস্থ বাংলো দখল মুক্ত করতে উদ্ধত হয় রাজ্য প্রশাসন।
টানা দুই ঘন্টা রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিক এবং বিজেপি নেতার উপদেষ্টার সাথে বাদানুবাদ হওয়ার পর। তিনদিনের সময়সীমা মৌখিক ভাবে ধার্য করে দেওয়া হয় বাংলো খালি করার জন্য। এমনটাই জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য প্রশাসনের এক আধিকারিক।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর এ-জোনে ব্যাপক রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এ বিষয়ে কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরীর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুই জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। যা কখনোই বাংলার রাজনৈতিক শিষ্টাচারে অভিপ্রেত নয়।