রাতভর উত্তপ্ত চন্দননগর
নিউজ ডেস্ক: বে-আইনী মদ বেচা-কেনাকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল চন্দননগরের উর্দিবাজার এলাকা। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগর লক্ষীগঞ্জ বাজারে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষীগঞ্জ বাজার এলাকায় বে-আইনী ভাবে মদ বিক্রী করত রাজেশ চৌধুরী নামে এক ব্যাক্তি। এদিন রাতে ওই আশেপাশের এলাকায় কয়েজন রাজেশের কাছে মদ কিনতে যান বলে খবর। সেই সময়ে মদের দাম বেশি নিয়ে বচসা শুরু হয়। সেই বচসা থেকে শুরু হয় মারামারি। সেই সময়ে ওই এলাকার কয়েজন মারামারি থামাতে গেলে তারাও বেধরক মার খায় বলে অভিযোগ। এর পরই শুরু হয় প্রবল উত্তেজনা। এরপর দুষ্কৃতীরা চন্দননগরের নিচুপট্টী এলাকায় বেশ কয়েকটা দোকান পাট ও একটি রেষ্ট্রুরেন্টে ভাংচুর করে বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বোমাবাজি। মুহুমুহু কাঁচের বোতল পড়তে থাকে। মুহুর্তের মধ্যেই ওই এলাকা রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চন্দননগরে। এরপরই গোটা ঘটনাটি অন্যদিকে মোড় নেয়। শুরু হয় নিচুপট্টী বনাম খাঁন-সামা-পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রবল গোলমাল। দুই পক্ষের প্রায় আটজন আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দু’পক্ষের গোলমাল থামাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন টিআই ইন্সপেক্টর অভিজিৎ ব্যানার্জি। চন্দননগরের ঘটনায় পায়ে বোমা লেগে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি হয় বাপ্পা মণ্ডল নামে এক ব্যাক্তি। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন চন্দননগর থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে নামানো হয় র্যাফ। এই ঘটনায় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা আছে। পুলিশি ধরপাকড় শুরু হলে দুই-পক্ষই পিছু হটে বলে খবর। এই ঘটনায় লক্ষীগঞ্জ বাজার এর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা আছে । যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে পুলিশকে ফোন করা হলে পুলিশ ফোন ধরেননি। তাই পুলিশের অফিসিয়াল বক্তব্য পাওয়া যায়নি।