সামনে এলো নিউটাউনের গ্যাংস্টার হত্যাকাণ্ডের ফ্ল্যাটের মালিক ও ভাড়া দেওয়ার সংক্রান্ত নথি
নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাব থেকে পালিয়ে বেড়ানো দুই দুষ্কৃতী কিভাবে শাপুরজি আবাসনের মতো জায়গায় ফ্ল্যাট ভাড়া পেল তা নিয়ে প্রশ্ন করছিল গতকাল থেকেই। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, এই ফ্ল্যাটটি আকবর আলি নামে একজনের। তিনি এন্টালিতে থাকেন। আর যার মাধ্যমে ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়, তিনি ‘সুখবৃষ্টির বাসিন্দা, পেশায় ব্রোকার সুশান্ত সাহা। ২০১ নং ফ্ল্যাটের মালিক আকবর আলির সঙ্গে সুশান্ত সাহার যোগাযোগ হয়। একটি ফ্ল্যাট ভাড়ার কথা হয় তাঁদের। নিউটাউনের নারকেলডাঙার বাসিন্দা আরেক ব্রোকার সৌরভ কুমারের সঙ্গে মালিক আকবর আলি ও সুশান্ত যোগাযোগ করেন। সুশান্ত আকবরের ভাইয়ের থেকে ফ্ল্যাটের চাবি নেন, ভাড়াটেদের দেওয়ার জন্য।
২২ মে, সুমিত কুমার নামে এক ব্যক্তি থাকবেন বলে কাগজপত্রে সই করেন। ২৩ তারিখ থেকে তিনি থাকতে শুরু করেন। তবে বুধবারের ঘটনার পরই ফ্লাটের মালিক জানতে পারেন, ফ্ল্যাটে এতদিন ছিল পাঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার জসপ্রীত-জয়পাল সিং। এছাড়া গত প্রায় দু সপ্তাহ ধরে ফ্ল্যাটে গা ঢাকা দিয়ে থাকা দু’জন গ্যাংস্টারের দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কেও কিছু তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ নিরামিষাশী জসপ্রীত ও জয়পালের খাবার আসত হোম ডেলিভারির মাধ্যমে। রুটি, ডাল, সবজি নিত তারা। রোজ দুপুর দেড়টার মধ্যে ফ্ল্যাটের দরজা খুলে, কোলাপসিবল গেটের বাইরে ডেলিভারি বয়ের হাত থেকে খাবার নিয়ে নিত একই ব্যক্তি।
যে ফোন নম্বর থেকে খাবার অর্ডার দেওয়া হতো, দেখা গিয়েছে সেই নম্বরটি সুমিত কুমারের। আর এখানেই সন্দেহ আরও গাঢ় হয়েছে। তবে কি সুমিত কুমার এদেরই কারও নাম নাকি সে নিজের ফোনটি জসপ্রীতদের ব্যবহারের জন্য দিয়ে গিয়েছিল? এসব বিষয় ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, একেবারে প্ল্যান মাফিক কোনভাবেই যাতে কেউ তাদের বসবাসের খবর না পায়। তার সমস্ত প্ল্যান করে নেমেছিল ওই ফ্ল্যাটে থাকতে।