রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসায় ধর্ষিতাদের বক্তব্য শুনলো সুপ্রিম কোর্ট
নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর বিপুল ভোটে ঐতিহাসিক জয় হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। কিন্তু সেই জয়ের পর এই রাজ্যে শুরু হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা। কখনও বিজেপি, কখনো আবার তৃণমূলের মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এবার সেই সমস্ত মানুষের কথা শুনতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত দুই বিজেপি কর্মীর আত্মীয়দের আরজি শুনতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার কারণে সাহস পেয়ে বেশ কয়েকজন গণধর্ষিতা শীর্ষ আদালতের কাছে শরণাপন্ন হয়েছেন। তারা আর্জি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যেন স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম তৈরি করা হোক।
তাদের বক্তব্য বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ ভোটে জয়যুক্ত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জয়ের পর ১৫ দিন ধরে সারা রাজ্যে দাপিয়ে বেড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অবাধে খুন করেছে লুটপাট চালিয়েছে। ধর্ষণ করে গিয়েছে। ৬০ বছর বয়সী এক মহিলা জানিয়েছেন, ৪ মে রাতে তার বাড়িতে টিএমসি কর্মী-সমর্থকরা ঢুকে পড়ে। এবং ছয় বছর বয়সী নাতির সামনেই তাকে ধর্ষণ করে তার বাড়ির জিনিসপত্র লুটপাট করে। আরেক মহিলা জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টকে, তার বাড়ি খেজুরি বিধানসভা কেন্দ্রে। যেখানে বিজেপি প্রার্থী জিতেছেন। কিন্তু তারপরেও ৩ মে কয়েকজন টিএমসি সমর্থক তার বাড়ি ঘেরাও করে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। ভয় পেয়ে মহিলার পুত্রবধূ পরের দিনই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। ৪ মে রাতে ১০০ থেকে ২০০ টিএমসি সমর্থক তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে তাকে খাটের সঙ্গে বেঁধে ধর্ষণ করে।
তপশিলি জাতির এক কিশোরীও সুপ্রিমকোর্টের কাছে তার গণধর্ষণের কথা জানায়, গত ৯ মেয়ে গণধর্ষণ করে জঙ্গলে ফেলে আসা হয়েছিল তাকে। পরেরদিন বাহাদুর সেখ নামে এক স্থানীয় তৃণমূল নেতারা তাদের বাড়ি এসে হুমকি দিয়ে বলে পুলিশে অভিযোগ করলে ফল আরো খারাপ হবে। মেয়েটি জানিয়েছে তাকে এখন চাইল্ড কেয়ার হোমে রাখা হয়েছে। বাবা-মার সঙ্গে তার দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয় না। অপর আরেকজন মহিলা জানিয়েছেন আমার স্বামী বিজেপির হয়ে প্রচার করেছিলেন বলে খুন হয়েছে। ১৪ মে দিনের বেলায় টিএমসির সমর্থকরা তার স্বামী ও ভাসুরকে কুড়ুল দিয়ে আক্রমণ করে।