জল নিকাশি ব্যবস্থায় পঞ্চায়েতের অভিনব উদ্যোগ
নিউজ ডেস্ক: বর্ষার আগেই রাজ্য সড়কে জল নিকাশি করতে অভিনব উদ্যোগ পঞ্চায়েতের। তার পাশাপাশি যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে নয়নজুলি খোঁড়ার কাজে এগিয়ে এলেন গ্রামের বহু মানুষ।
বসিহাট মহাকুমার সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার সদর শহর বারাসাত তথা কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম টাকি রোড, রাজ্যসড়ক ২ বিগত বছরগুলোতে দেখা গিয়েছে বর্ষা শুরু হতেই বর্ষার জল টাকি রোডের উপর জমে প্রচন্ড ক্ষতির মুখে পড়ে খোলাপোতা বাজারের প্রায় ২, হাজার ব্যবসায়ী।
তাদের অভিযোগ বৃষ্টির জল দোকানে ঢুকে জিনিসপত্র নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সেই জমা জল পেরিয়ে দোকানে আসতে চান না ক্রেতা, তাই দীর্ঘদিন ধরে ওই বাজারে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে, জানিয়েছেন ঐ বাজারের ব্যাবসায়ীরা।
তারপর ঐ রাস্তা দিয়ে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, বিশেষ করে সীমান্ত গামী লরি, বসিরহাট এর একাধিক রুটের বাস, অটো, টোটো সহ সমস্ত নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে স্কুল ছাত্র ছাত্রী জল জমে থাকার কারণে জর্জরিত হয়ে পড়ে। তাই সেই টাকি রোড কে জমা জল মুক্ত করতে অভিনব উদ্যোগ নিল বসিরহাট মহাকুমার বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের খোলাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত।
খোলাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অপরেশ মুখার্জির উদ্যোগে ৬, লক্ষ টাকা ব্যয় ২০০, ফুট লম্বা ৪, ফুট চওড়া ও ৩ ফুট গভীর একটি কংক্রিটের ড্রেন ও কালভার্টের কাজের শুরু হয়েছে। টাকি রোডের থেকে একটি নয়নজুলি তৈরি করে সেটিকে পার্শ্ববর্তী মথুরাপুর ও গোবিন্দপুর মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া ভদ্রাকালী খালের যোগ করা হলো।
এই কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আর জল জমতে পারবেনা জমা জল কাদা থেকে মুক্তভাবে রাজ্য সড়ক যান চলাচলে সুবিধা হবে,এবং সাধারণ মানুষ থেকে স্কুলের ছাত্র ছাত্রী ও এই বাজারে আসা ক্রেতাদের সুবিধা হবে বলে জানা যায়।
এদিন সেই নয়নজুলি খোঁড়ার কাজ শুরু করলো গ্রামবাসীরা এই নয়নজলি কাজ সম্পন্ন হলে। বর্ষায় জমা জলের নরক যন্ত্রণা ভোগ থেকে মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।